ভুটানের নারী ফুটবল লিগে অংশ নিতে আজ (রোববার) সকালে থিম্পুর উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের পাঁচ নারী ফুটবলার—সানজিদা আক্তার, রুপ্না চাকমা, মাসুরা পারভীন, মারিয়া মান্ডা ও শামসুন্নাহার সিনিয়র। তবে দলের অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রাণী সরকারের যাত্রা কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে, কারণ তার ক্লাব এখনও প্রয়োজনীয় ওয়ার্ক পারমিটের ব্যবস্থা করতে পারেনি। অনুমান করা হচ্ছে, কিছুদিন পর তিনিও ভুটানে যোগ দেবেন।
এর আগে এক সপ্তাহ আগে থিম্পু পৌঁছেছেন সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, সুমাইয়া ও মনিকা চাকমা। এই চারজনই খেলবেন পারো এফসি’র হয়ে। ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের হয়ে মাঠে নামবেন মাসুরা, রুপ্না এবং কৃষ্ণা। অন্যদিকে থিম্পু সিটির হয়ে খেলবেন সানজিদা, মারিয়া ও শামসুন্নাহার।
আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ভুটানের নারী লিগ, যার মেয়াদ বাংলাদেশের লিগের তুলনায় অনেক দীর্ঘ। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই প্রতিযোগিতা। এখন পর্যন্ত পাওয়া এক ম্যাচ ফিকশ্চার অনুযায়ী, একটি ম্যাচ ১৯ মে, আর পরেরটি ১৬ জুনে—মাঝে প্রায় এক মাসের ব্যবধান। এমন ফাঁকা সূচিতে খেলোয়াড়দের অনুশীলন বা জাতীয় দলের জন্য সময় বের করাও হতে পারে চ্যালেঞ্জ।
জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে মিয়ানমারে শুরু হবে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব। কোচ পিটার বাটলার চাইলে ভুটানে থাকা ফুটবলারদের দলে ডাকলেও তাদের অনুশীলনের জন্য সময় পাবেন খুবই সীমিত। তবে যদি ফেডারেশন জুনের আগেই ক্লাব থেকে তাদের ছাড়িয়ে নিতে পারে, তাহলে মাসখানেক অনুশীলনের সুযোগ মিলতে পারে।
এদিকে, সম্প্রতি বাফুফে’র সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানো সিনিয়র নারী ফুটবলারদের মধ্যে ১৩ জন অনুশীলনে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন ইতোমধ্যেই ভুটানে রওনা হয়েছেন। যদিও তারা কয়েকদিন অনুশীলন করলেও বাফুফের সঙ্গে এখনও চুক্তি হয়নি। কর্মকর্তারা বলেছিলেন, অনুশীলনে ফিরে এলে দ্রুত চুক্তি সম্পন্ন করা হবে, তবে ফেডারেশনের শীর্ষ কর্তারা বর্তমানে এএফসি কংগ্রেসে থাকায় বিষয়টি ঝুলে আছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এখনও ভুটানে থাকা খেলোয়াড়দের চুক্তি সংক্রান্ত অবস্থান পরিষ্কার করা হয়নি।
এসএস/এসএন