পরিণতি পায় না বহু প্রেম। রোজের অভ্যাস না হলেও, অপরিণত প্রেমে বাকি থেকে যায় অনেক কিছু। কখনও অবচেতনে, কখনও আবার অপরিকল্পিত স্বপ্নেও দেখা দিয়ে যায় সেই অপরিণত প্রেম। নিত্যদিনের সঙ্গী না হয়েও অপরিণত প্রেম যেন জন্মদাগের মতো থেকে যায় জীবনে। তেমনই, অপরিণত হয়েও বার বার প্রেমের আখ্যানে উঠে আসে, অমৃতা প্রীতম- ইমরোজ়ের নাম। এই প্রসঙ্গেই উঠে আসে শিল্পী ফ্রিডা কাহলো ও তাঁর প্রেমিক ডিয়েগো রিভেরার কথাও।
এক দশকের বড় অমৃতাকে ভালবেসেছিলেন ইমরোজ়। ৪০ বছর ধরে তাঁদের মাঝে ছিল অফুরান প্রেম। পঞ্জাবি সাহিত্যিক অমৃতা প্রীতম লিখেছিলেন বহু চিঠি। তেমনই একটি চিঠি প্রাণ ফিরে পেল স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও অনির্বাণ ভট্টাচার্যের কণ্ঠে। আবার কখনও তাঁরা পড়লেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্দেশে লেখা রানু মুখোপাধ্যায়ের চিঠি। অস্কার ওয়াইল্ড কারাবাস থেকে চিঠি লিখেছিলেন তাঁর প্রেমিকবন্ধু লর্ড আলফ্রেড ডগলাসকে। শনিবার বিকেলে এই অপরিণত প্রেমের চিঠিগুলি অনির্বাণ ও স্বস্তিকা পড়লেন কেসিসি বৈঠকখানায়।
রানু তাঁর লেখা চিঠিতে রবীন্দ্রনাথকে সম্বোধন করেছিলেন ভানুদাদা বলে। এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, “আমি কাউকে বিয়ে করব না। আপনার সঙ্গে তো আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আপনি হয়তো মানবেন না। কিন্তু আমি মানি।” এ দিন স্বস্তিকার পরনে ছিল কালো রঙের শাড়ি। কপালে বড় টিপ ও চোখে মোটা কালো ফ্রেমের চশমা। অভিনেত্রী তাঁর চেনা সাজে ধরা দিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু প্রতিটি চিঠি পড়ার সময়ে সেই চরিত্র হয়ে উঠছিলেন তিনি।
অনির্বাণের দরাজ কণ্ঠে ফুটে ওঠে অস্কার ওয়াইল্ডের লেখা চিঠি। এক জায়গায় তিনি বলেছেন, “ভাবতে ভাল লাগে না, দু’টো বছর জেলে ছিলাম। কিন্তু তুমি একটা খবরও দাওনি। আমি যন্ত্রণাই পেয়েছি।” এই চিঠি একরাশ অভিমান নিয়ে প্রেমিককে লিখেছিলেন আইরিশ কবি-সাহিত্যিক। অনির্বাণ ও স্বস্তিকার এই যুগলবন্দীতে প্রেক্ষাগৃহ ভরে ওঠে করতালিতে।
এসএন