পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’-র নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখার সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চারুকলা অনুষদের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে চারুকলা প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের মতামত উপেক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এর পেছনে রাজনৈতিক প্রভাবের ইঙ্গিতও দেওয়া হচ্ছে, যা ইতিহাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
প্রিন্ট মেকিং বিভাগের শিক্ষার্থী জাহরা নাজিফা বলেন, “নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের কোনো পরামর্শ ছাড়াই নেওয়া হয়েছে। 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' শুধু একটি নাম নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক প্রতীক।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এখন শোভাযাত্রার মূল নকশা তৈরির দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরিয়ে শিক্ষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, এবং পুরো কার্যক্রমকে একাডেমিক কোর্সে রূপান্তর করা হয়েছে—যেটি শিক্ষার্থীদের মতামত ছাড়াই বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
সাবেক শিক্ষার্থী জাহিদ জামিল জানান, আগে আশ্বাস দেওয়া হলেও পরে “অজুহাত দেখিয়ে” নাম বদলে ফেলা হয়েছে, যা খুবই হতাশাজনক।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা নববর্ষ উদ্যাপনে সবসময় সক্রিয় থাকবেন, তবে ভবিষ্যতে যেন শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং একটি যৌথ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়—সেই দাবি জানান তারা।
এই ইস্যুটি ঘিরে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও আলোচনা শুরু হয়েছে, যেখানে অনেকেই এই ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
এসএস/এসএন