সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে সিনে সংসারে পা রাখা। তারপর আর পিছু ফিরে চাইতে হয়নি। 'অপুর সংসারে'র অর্পণা হোক কিংবা পাহাড়ের বাঁকে টয়ট্রেনে বসা 'আরাধনা'র বন্দনা। ড্রয়িংরুম ছেড়ে বাঙালির হৃদয়ের দখল নিয়েছিলেন। বাঙালির আবেগের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিলেন শর্মিলা। চোদ্দ বছর পর সেই শর্মিলাই আবার ফিরলেন টলিউডে। তাঁর ফেরা যেন বাঙালির আবেগ, মুগ্ধতা হয়ে। তাই স্বাভাবিকভাবেই 'পুরাতন' ছবি দেখে আপ্লুত বাঙালি সিনেপ্রেমীরা। শুধু কী অনুরাগীরা? ক্যানসারজয়ী মায়ের টলিউডে প্রত্যাবর্তনে আবেগে ভাসছেন সোহা। বাদ যাননি করিনা-সইফও।
ইনস্টাগ্রামে মায়ের 'পুরাতন' ছবির লুকের চারটি ছবি পোস্ট করেন সোহা। ক্যাপশনে লেখেন, "প্রায় দু'দশক পর বাংলা ছবিতে মায়ের ফেরা উদযাপন করছি। কেউ আমাকে একসময় বলেছিলেন, শর্মিলা একজন মানুষ নন। তিনি আসলে আবেগ।" সোহার এই ছোট্ট ক্যাপশন মন ছুঁয়ে গিয়েছে নেটিজেনদের। সকলের অনুভূতিকে যেন স্পর্শ করেছেন শর্মিলা আবেগ। অভিনেত্রীর গুণমুগ্ধদের ওই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে শুভেচ্ছার বন্য়া বইছে।
পরিচালক সুমন ঘোষের ‘পুরাতন’ ছবির হাত ধরে দীর্ঘদিন বাদে বাংলা ছবিতে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। মেয়ের চরিত্রে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সিনেমা রিলিজের আগেই বেশ কিছু ঝলকে অভিনেত্রী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এই ছবির রাশ তাঁর হাতে। সুমন ঘোষের ফ্রেমে মা-মেয়ের রসায়ন এর আগে বহুল প্রশংসিত হয়েছিল বিদেশের মাটিতে। এবার দেশে রিলিজ হতেই প্রশংসার জোয়ার। তবে শর্মিলা নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, হয়তো 'পুরাতন'ই হবে তাঁর শেষ বাংলা ছবি। কারণ, এই শরীরের অবস্থা নিয়ে আর শুটিংয়ের ঝক্কি পোহাতে কষ্ট হয় তাঁর। যদিও অভিনেত্রীর এই ঘোষণা যেন বড্ড মনখারাপ করা। তাই শর্মিলার নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা কোটি কোটি অনুরাগীর একটাই অনুরোধ, আরও কাজ করুন। শর্মিলা ম্যাজিকের ঘোর কেটে যাক, তা চাইছেন না কেউ।
আরএম/এসএন