আইপিএল মানেই রানের বন্যা। তবে এই রান কি শুধুই ব্যাটারদের দক্ষতার ফল? সম্প্রতি ভারতের এক শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আইপিএলের রানের উৎস নিয়ে নতুন রহস্য। অভিযোগ, অনেক ব্যাটারই ব্যবহার করেছেন আইসিসির নির্ধারিত মাপের বাইরে ‘ওভারসাইজড’ ব্যাট — যেগুলোর কারণে শটের জোর বাড়ে, বাড়ে রানও।
সাধারণত ম্যাচ রেফারিরা আগেই ব্যাট পরীক্ষা করেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, মাঠে নামার সময় অনেক ব্যাটার সরিয়ে রাখতেন সেই অনুমোদিত ব্যাট, আর ক্রিজে যেতেন বাড়তি প্রস্থের ব্যাট নিয়ে। যেহেতু তখন ব্যাট যাচাইয়ের পদ্ধতি ছিল না, তাই ধরা পড়ার সুযোগও থাকত না।
এবার সেই ফাঁকফোকর বন্ধ করতে মাঠেই চালু হলো ‘ব্যাট যাচাই’ নিয়ম। বিসিসিআই এবং আইপিএলের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে ক্রিজে আসা প্রতিটি ব্যাটারকে মাঠেই ব্যাট পরীক্ষা করাতে হবে। এই জন্য অনফিল্ড আম্পায়ারদের হাতে থাকবে বিশেষ ব্যাট গজ—আইসিসির স্বীকৃত আকার অনুযায়ী তৈরি একটি ত্রিভুজাকৃতি প্লাস্টিক ফ্রেম।
যে ব্যাট সেই গজের মধ্যে দিয়ে পুরোপুরি বেরিয়ে আসবে, কেবল সেই ব্যাটই বৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল বলেন, “কারোরই এমন মনে হওয়া উচিত নয় যে অন্য দল অন্যায্য সুবিধা পাচ্ছে। আমরা চাই খেলার স্বচ্ছতা বজায় থাকুক। ”তিনি আরও জানান, “প্রযুক্তিকে সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগানো হয়েছে যাতে প্রতিটি সিদ্ধান্ত ন্যায়সঙ্গত হয়। খেলার চেতনাকে অক্ষুণ্ন রাখাই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।”
আইসিসির নির্ধারিত ব্যাটের মাপ:প্রস্থ: ৪.৩৩ ইঞ্চি মাঝের পুরুত্ব: ২.৬৮ ইঞ্চি কিনারার পুরুত্ব: ১.৬১ ইঞ্চি নিচের বাঁকের (Bulge) সীমা: ০.২০ ইঞ্চি
তবে একটি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির এক ব্যাটার জানান, ‘বালজ’ অংশে কাঠ বেশি যোগ করেই তারা ব্যাটকে শক্তিশালী করেন। এই অংশেই বলের সংস্পর্শ হয় সবচেয়ে বেশি, তাই শটেও জোর বাড়ে।
পূর্বে ব্যাট যাচাই হতো ম্যাচের আগের রাতে। তবে সেই ব্যবস্থা সহজেই ফাঁকি দেওয়া যেত। নতুন এই নিয়মে ম্যাচ চলাকালীন ব্যাট বদল করেও আর কারসাজির সুযোগ নেই।
এসএস/এসএন