ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার গত বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ থাকবে, নেতৃত্বে শেখ হাসিনা থাকবেন না। তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নেতারাও বাদ যাবেন। আওয়ামী লীগের পরিচিত কিছু নেতা-নেত্রীকে সামনে রেখে নতুন আওয়ামী লীগ আত্নপ্রকাশ করতে যাচ্ছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় গণমাধ্যমটি।
ভারতের এক সাবেক কূটনীতিক জানান, “বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে দিল্লির কিছু করণীয় নেই।”
কলকাতায় আত্মগোপনে থাকা এক আওয়ামী লীগ নেতার উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমটি আরো জানায়, আপাতত এই ‘রিফাইন্ড’ চক্রান্তই তাঁদের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, হাসিনার বিরুদ্ধে দাঁড়ালে তাঁদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেওয়া হবে। হাসিনা-ঘনিষ্ঠ এই নেতা জানাচ্ছেন, কলকাতায় আশ্রয় নেওয়া কিছু নেতাও এই দিকে ঝুঁকছেন বলে তাঁরা খবর পেয়েছেন। এঁরা অন্যদেরও টানতে চেষ্টা করছেন।
কী ভাবে এই চক্রান্তের মোকাবিলা করছে আওয়ামী লীগ? দলের ওই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জানাচ্ছেন, জেলায় জেলায় ভার্চুয়াল মিটিং করছেন নেতৃত্ব। সেই মিটিংয়ে শেখ হাসিনা নিজে যুক্ত হচ্ছেন। ঘণ্টা কয়েক ধরে তিনি কর্মীদের কথা শুনছেন। (সূত্র: আনন্দবাজার)
ইতোমধ্যে শেখ হাসিনাকে নিয়ে পোস্ট ঘিরে ফেসবুকে নেটিজেনরা রীতিমত কথা বলা শুরু করেছেন। তারা বলছেন শেখ হাসিনা দেশে ফিরবে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য। তারা দাবি করছেন শেখ হাসিনাকে যেকোন মূল্যেই তারা দেশে ফিরিয়ে এনে গুম, হত্যা, গণহত্যার জন্য বিচারের মুখোমুখি করবেন।
এফপি/এসএন