যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য বৈরতার মধ্যেও চলতি ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ—প্রথম প্রান্তিকে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে চীন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (NBS) এ তথ্য জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে প্রবৃদ্ধির হার ৫ থেকে ৫.১ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে পূর্বাভাস ছিল। তবে বাস্তব প্রবৃদ্ধি হয়েছে সেই অনুমান ছাড়িয়ে—৫.৪ শতাংশ।
চীনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আরোপ নিয়ে বাণিজ্যিক উত্তেজনা না থাকলে প্রবৃদ্ধির হার আরও বেশি হতে পারত।
চীনের অর্থনীতি বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং মূলত রপ্তানিনির্ভর। বহু দেশের বাজারে নানা ধরনের পণ্য সরবরাহ করে দেশটি। এতদিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল তাদের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য। কিন্তু ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেন, যা পরে ৩৪ শতাংশে উন্নীত হয়।
জবাবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক বসায়। পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে শুল্কের হার কয়েক ধাপে বাড়তে বাড়তে চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক পৌঁছে ১৪৫ শতাংশে এবং চীনের আরোপিত শুল্ক দাঁড়ায় ১২৫ শতাংশে।
এমন প্রতিকূলতার মধ্যেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আশাব্যাঞ্জক বললেও চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরো আত্মতৃপ্তি না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিবেশ দিন দিন আরও জটিল ও কঠিন হয়ে উঠছে। এই ধারা ধরে রাখতে হলে আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে।”
এসএস/এসএন