ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে রাজি হয়েছে জান্তা সরকার ও প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট। আসিয়ানের চেয়ারম্যান আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকে সময়সীমা বাড়ানোর পক্ষে মত দেন তারা।
মার্চ মাসের ভূমিকম্পের ধকল এখনো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমার। এ অবস্থায় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা স্বাভাবিক রাখতে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) আসিয়ানের চেয়ারম্যানের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বসে জান্তা সরকার ও প্রধান বিরোধী দল। বৈঠকে যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে জান্তা ও বিরোধী দল।
শুক্রবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আসিয়ানের চেয়ারম্যান আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বৈঠকে অংশ নেন জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাই এবং বিরোধী জোট ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের প্রতিনিধি। উভয়েই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানোর পক্ষে মত দেন। তবে, কতদিন বাড়ানো হবে তা নিশ্চিত করা হয়নি।
গত ২৮ মার্চের ভূমিকম্পের পর ২ এপ্রিল ২০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে জান্তা সরকার। সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, আঞ্চলিক জোট হিসেবে মিয়ামনারের প্রতিটি ক্ষেত্রে আসিয়ানের সংযুক্ত থাকা উচিত। তবে, এই সুযোগ সামরিক সরকার যেন নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যবহার করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
২০২২ সালে ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে উচ্ছেদ করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলে নেয় সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই জান্তাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয়ের পক্ষের সংঘাতে এখন পর্যন্ত বহু বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
ভূমিকম্পের পর বিপর্যস্ত মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলেও সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে জান্তা সেনাদের সংঘর্ষ অব্যাহত আছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে।
এসএন