প্যান-ইন্ডিয়া সুপারস্টার প্রভাস যেন শুধু নায়ক নন, এবার হয়ে উঠেছেন এক জীবন্ত দেবতা। মঞ্চু বিষ্ণু প্রযোজিত পৌরাণিক সিনেমা 'কান্নাপ্পা'-তে রুদ্ররূপে দেখা যাবে তাঁকে — আর এই চরিত্রেই নাকি ধরা দিয়েছে এক অনবদ্য ঐশ্বরিক শক্তি।
পরিচালক হেমন্ত মাধুকরের কথায়, প্রভাস কেবল একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন না, তিনি যেন পর্দার মাঝেই দেবত্বের ছোঁয়া এনে দিয়েছেন। রুদ্র মানে কঠোরতা, ধ্বংস, আবার সেই রুদ্রই শান্ত, সংযত, ধ্যানমগ্ন। আর এই বিপরীত গুণের সংমিশ্রণকেই নাকি প্রভাস ফুটিয়ে তুলেছেন এক অনবদ্য সাবলীলতায়।
প্রভাসের এই রুদ্ররূপকে তুলনা করা হচ্ছে এনটিআর-এর ঐতিহাসিক কৃষ্ণ ও শিব রূপের সঙ্গে। তবে প্রভাস এখানে কোনো অনুকরণে যাননি — তিনি নিজের অভিজ্ঞানেই গড়ে তুলেছেন এক নতুন বিশ্বাস, এক নতুন ঐশ্বরিক ক্যানভাস। পরিচালকের ভাষায়, প্রভাসের “সৌম্য মুখাবয়ব, তীক্ষ্ণ চোখ আর রাজকীয় উপস্থিতি তাঁকে ঈশ্বরের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছে।”
এই চরিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও একটি আবেগের বাঁধন। 'কান্নাপ্পা'-তে প্রভাসের অংশগ্রহণ কোনো পারিশ্রমিক বা বক্স অফিসের লাভের জন্য নয়। বরং প্রযোজক মোহন বাবু ও অভিনেতা মঞ্চু বিষ্ণুর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানেই তিনি এই কাজটি করেছেন। তারকা হয়ে ওঠার পরেও প্রভাস যে কতটা মাটির মানুষ, তা যেন আরও একবার প্রমাণ হলো এই সিদ্ধান্তে।
প্রভাসের সাম্প্রতিক সিনেমাগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায়, তিনি সাহসী চরিত্র বেছে নিচ্ছেন। কখনও সেনা, কখনও রহস্যময় প্রেমিক, কখনও বা আবেগঘন পুলিশ অফিসার — প্রতিটি ছবিতেই নিজেকে ভেঙেছেন, গড়েছেন, আর এগিয়ে গেছেন।
'কান্নাপ্পা'-তে তাঁর আগমন শুধুই একটি সিনেমার অংশগ্রহণ নয়, এটি যেন হয়ে উঠেছে এক আত্মিক জার্নি। যেখানে প্রভাস আর রুদ্র, আলাদা সত্তা নয়, বরং একই অস্তিত্ব।
এসএন