গেল বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ব্যবস্থাপনায়ও পরিবর্তন আসে। নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন ফারুক আহমেদ। তার নেতৃত্বে প্রথমেই জাতীয় দলের কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা পরবর্তীতে গত বছরের অক্টোবর মাসে বাস্তবায়িত হয়।
তবে হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ ছাড়ার সময় কেমন অনুভব করেছিলেন? সম্প্রতি ‘কোড স্পোর্ট’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান তিনি।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা। সেই সময়ের অবস্থা নিয়ে হাথুরু বলেন, ‘বিসিবির সিইওর (নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন) শেষ কথা ছিল- তোমার চলে যাওয়া উচিত। বোর্ডের কাউকে বলার দরকার নেই, তোমার কি টিকিট আছে? এটি আমার জন্য একটি সতর্কবার্তা ছিল। তখনই আমি একটু ভয় পেয়ে যাই।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণত বাংলাদেশে ভ্রমণের সময় আমার সঙ্গে একজন ড্রাইভার এবং একজন বন্দুকধারী থাকে। কিন্তু তিনি (বিসিবির সিইও) বললেন, আজ কি তুমি তোমার বন্দুকধারী এবং তোমার ড্রাইভারকে পেয়েছ? আমি বললাম, না, শুধু ড্রাইভার এসেছে। এরপর বাংলাদেশ ছাড়ার জন্য টাকা জোগার করতে আমি ব্যাংকে গিয়েছিলাম। আমি যখন ব্যাংকে ছিলাম তখন টিভিতে একটি ব্রেকিং নিউজ ছিল-একজন খেলোয়াড়কে (নাসুম আহমেদ) লাঞ্ছিত করার দায়ে চন্ডিকাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
লংকান এই কোচ আরও বলেন, ‘যখন বিষয়টি নজরে এলো, তখন ব্যাংক ম্যানেজার বললেন, ‘কোচ, আমি তোমার সাথে যাব। রাস্তায় মানুষ তোমাকে দেখে ফেললে তা তোমার জন্য নিরাপদ হবে না। আমি আরও আতঙ্কিত হতে পড়ি। আমার এক বন্ধু আমাকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের মধ্যরাতের ফ্লাইট ধরতে বিমানবন্দরে নিয়ে যায় এবং আমি টুপি এবং হুডি পরে নিজেকে সুরক্ষিত করার চেষ্টা করি। কারণ, দেশ ছেড়ে যাওয়ার অভিযোগে তারা আমাকে গ্রেফতার করতে পারত।’
হাথুরুসিংহের এই সাক্ষাৎকারের ব্যাপারে এখনো মন্তব্য করেনি বিসিবি।
আরএ