বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এবং সাবেক সংসদ সদস্য। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধানের ইঙ্গিত দিয়ে দুদক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, দুর্নীতি মামলার আসামি হতে পারেন সাকিব।
জানতে চাইলে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে সংস্থার উপপরিচালক মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। দলের অপর সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান। ৯ এপ্রিল থেকে কমিটির সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন।
দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সাকিব আল হাসানের দুর্নীতি অনুসন্ধানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক।গত ৬ এপ্রিল সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে নানা ‘অনিয়ম-দুর্নীতির’ অভিযোগ অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছিলেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
ওই দিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের আশঙ্কা; এমনও হতে পারে, সাকিব দুদকের আসামিও হতে পারেন।’বিতর্ক কখনো পিছু ছাড়েনি বিশ্ব নন্দিত ক্রিকেট তারকা সাকিবের। কখনো ক্রিকেট খেলা ঘিরে জুয়ারিদের সঙ্গে আতাত, কখনো অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়া আবার কখনো শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িয়ে মিডিয়ায় নেতিবাচক শিরোনাম হয়েছেন সাকিব।
জনপ্রিয় এই ক্রিকেট তারকা আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরও সমালোচনার মুখে পড়েন। অনেক ভক্ত মুখ ফিরিয়ে নেন তার কাছ থেকে।
এমআর/টিএ