ম্যাচ জয়ের পর উদযাপন হবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেই জয় যদি হয় রুদ্ধশ্বাসের তাহলে উদযাপনটা একটু বেশি হওয়ার কথা। ফুলহামের বিপক্ষে কামব্যাকের গল্প লিখে রোমাঞ্চকর জয়ের পর তেমনি বুনো উদযাপন করেন চেলসির কোচ এনজো মারেসকাসহ সাইড বেঞ্চে থাকা অন্যরা।
তবে চেলসির উদযাপনটা নিজেদের বরাদ্দকৃত জায়গা ছাড়িয়ে মাঠ পর্যন্ত চলে গিয়েছিল।
যার শাস্তি পেয়েছেন কোচ মারেসকা। মাঠের ভেতরে উদযাপন করায় চেলসি কোচকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি অ্যান্থনি টেইলর। এতে এ মৌসুমে তিন হলুদ কার্ড দেখায় এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন তিনি।
প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড় থেকে অনেক আগেই ছিটকে গেছে চেলসি।
এখন শীর্ষ পাঁচে থাকার লড়াই তাদের। এই জয়ে ৩৩ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে পঞ্চম স্থানেও আছে তারা। তবে এক ম্যাচ কম খেলা নটিংহাম ফরেস্ট সমান ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে ঠিকই ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেছে।
ফুলহামের বিপক্ষে ম্যাচ হারলে তাই অনেকটা পিছিয়ে পড়ত চেলসি।
সেই পথেও ছিল তারা। কেননা ২০ মিনিটে করা অ্যালেক্স আইওবির গোলে ৮২ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল ফুলহাম। কোনো রকমে শেষ কয়েক মিনিট কাটিয়ে দিতে পারলেই চেলসির হার নিশ্চিত হতো। কিন্তু তা হতে দেননি তাইরিক জর্জ ও পেদ্রো নেতো। ৮৩ মিনিটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান বদলি জর্জ।
সমতায় ফেরার পরেই যোগ করা সময়ে দুর্দান্ত মুহূর্তটা সৃষ্টি করেন নেতো। যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক শটে জাল কাঁপিয়ে দেন পর্তুগালের ফরোয়ার্ড। ক্যারাভেন কটেজে তখন ব্লুজরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। আর তার শট জাল স্পর্শ করার আগেই চেলসির কোচ মারেসকাসহ অন্যরা মাঠে ঢুকে পড়েন। তারই শাস্তি হিসেবে এভারটনের বিপক্ষে পরের ম্যাচে ডাগআউটে থাকছেন না মারেসকা। তার পরিবর্তে ডাগআউট সামলিয়ে নেবেন আর্জেন্টিনার সাবেক গোলরক্ষক ও চেলসির সহকারী কোচ উইলি কাবায়ারো।
ম্যাচশেষে বুনো উদযাপন এবং কার্ড নিয়ে কথা বলেছেন মারেসকা। চেলসির কোচ বলেছেন, ‘আমি খুবই খুশি। প্রথমত এর কারণ হচ্ছে শেষ মুহূর্তে পাওয়া জয়ের অনুভূতিটা দারুণ। মনে করেছিলাম সমর্থকদের সঙ্গে মুহূর্ত কাটানো প্রাপ্য খেলোয়াড়দের। তাই এ কারণেই দ্রুত মাঠ ত্যাগ করি। আর দ্বিতীয় গোল যখন আমরা পেলাম তখন উদযাপন করি। এ জন্য আমাকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে।’
আরএম/টিএ