জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, বিএনপির ৩১ দফায় সবই বলা হয়েছে। তারা ডে কেয়ারের কথা বলছেন। অনেক ধরনের নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলছেন। কিন্তু সুকৌশলে একটি বিষয় এড়িয়ে তারা গেছেন। তা হচ্ছে, নারীদের দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধির কথা। জাতীয় সংসদের যে আসনগুলো সংরক্ষিত আছে, সেখানে যেন প্রত্যক্ষ ভোট হয়।
সোমবার (২১ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এনসিপি নারী সেল চট্টগ্রামের উদ্যোগে ‘রাজনীতি ও নাগরিক হিসেবে নারী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সামান্তা শারমিন বলেন, সংবিধান প্রণয়ন কমিটিতে আমরা নারীদের সর্বোচ্চ ভূমিকা দেখতে চাই। দল-মত ও পক্ষ নির্বিশেষে সবাই যেন নারী নেতৃত্ব তুলে আনতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকেও সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এনসিপির পক্ষ থেকে গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা এবং নানা ধরনের অসহযোগিতা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের পুরোনো সংবিধান কোনোভাবেই জনবান্ধব নয়, নারীর জন্য তো নয়ই।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, আপনাদের অভিযোগ তুলতে হবে। আপনারা বলছেন, পদ পাওয়ার পর আপনাদের অনেকেই ভুলে গেছেন। আমি স্পষ্টভাবে বলি, যে নেতা পদ পাওয়ার পর আপনাকে ভুলে যাবে, সেই নেতাকে আপনারা ভুলে যাবেন। যে নেতা আপনার ফোন ধরবে না, নেতা-সুলভ আচরণ করবে, সেই নেতার আমাদের প্রয়োজন নেই। নেতা হতে হলে আগে নেতৃত্ব রপ্ত করতে হবে। সুতরাং কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে।
নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনারা আর প্রতারিত হবেন না। সংসদে নারীদের জন্য সরাসরি যে একশটি আসনের কথা বলা হয়েছে, তার বিরোধিতা যারা করেছে, আগামী নির্বাচনে আপনারা তাদের প্রত্যাখ্যান করবেন।
এনসিপির আরেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনুভা জেভিন বলেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে বর্তমানে নারী সদস্য রয়েছেন ২৩ জন। শুরুতে সংখ্যায় তুলনামূলক কম হলেও এনসিপি বিশ্বাস করে, এই নারীদের ছাড়া ভবিষ্যতের কোনো রাজনীতি সম্ভব নয়, কোনো রাজনৈতিক দল টিকে থাকতে পারবে না। তাদের নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই নারীরাই এনসিপির শক্তি। নারীদের জন্য যে সংরক্ষিত আসনগুলো থাকে, সেখানে অনেক সময় কারো স্ত্রী বা পরিচিত আত্মীয়রা জায়গা পান, যারা প্রকৃত নারীদের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তাই এনসিপি চায়, এই ১০০ আসনে যেন জনগণের ভোটে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সাধারণ পরিবার থেকে নারী নেতৃত্ব ওঠে আসে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য নীলা আফরোজের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন- দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব সাগুফতা বুশরা মিশমা, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক রাসেল আহমদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জুবাইরুল আলম মানিক।
এমআর/টিএ