জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, ভোট দেওয়া মানে এই নয় যে জনগণ সরকারকে পাঁচ বছরের জন্য একটি ব্ল্যাঙ্কচেক দিয়ে দিয়েছে। সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে এবং জনগণের আলাদা মতামতের সুযোগ রাখতে হবে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সারোয়ার তুষার বলেন, “২০০১ এবং ২০০৮ সালের সীমানা পুনঃনির্ধারণের রাজনীতিকে খতিয়ে দেখতে হবে। এটি একটি মৌলিক প্রশ্ন হয়ে উঠছে, যেটি ভবিষ্যতে আরও জোরালোভাবে সামনে আসবে। বর্তমানে গণভোটের কথা বললেই বিএনপি এটাকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে উপস্থাপন করছে, অথচ আমাদের উদ্দেশ্য গণতন্ত্রের বিকাশ।”
বিএনপি নেতা মাশরাফ হোসেনের ইউটোপিয়া তত্ত্ব প্রসঙ্গে সারোয়ার তুষার বলেন, “আমরা যে ‘ইউটোপিয়ান’ ভাবনা উপস্থাপন করছি, তা ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রব্যবস্থার অনুরূপ। গত ৫৩ বছর ধরে আমরা একটি ডিস্টোপিয়ান বাস্তবতায় বাস করছি, যার চূড়ান্ত রূপ দেখা গেছে গত ১৫ বছরে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে রাষ্ট্র, সরকার, দল ও প্রশাসনের মধ্যে স্পষ্ট সীমারেখা টানতে হবে।”
তিনি বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দেখা যায়, একবার ক্ষমতায় এলে একটি দল এবং সেই দলের প্রধানই হয়ে ওঠেন সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। অথচ রাষ্ট্র, সরকার ও দলের মধ্যে আলাদা কাঠামো থাকা উচিত। এখন সরকার রাষ্ট্রকে গিলে ফেলছে, এটা গণতান্ত্রিক রীতি নয়।”
সারোয়ার তুষার আরও বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে টু-থার্ড মেজরিটির ধারণা রাজনৈতিক সুবিধা নিতেই ব্যবহৃত হয়েছে। ২০০১ সালে বিএনপি এবং ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যেভাবে হঠাৎ টু-থার্ড মেজরিটি অর্জন করেছে, তাতে সীমানা পুনঃনির্ধারণের প্রভাব স্পষ্ট।”
তিনি সংবিধান সংশোধন প্রসঙ্গে বলেন, “এটি একটি বড় সিদ্ধান্ত। যেমন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকবে কি না—এটি জনগণের মতামত ছাড়া নির্ধারণ করা উচিত নয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বিষয়টি ছিল না, অথচ ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামী লীগ এই ব্যবস্থা বাতিল করেছে। এটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।”
এসএস/টিএ