নুসরতের আক্ষেপ যশ তাকে ভালোবাসে না, মীমাংসায় মৌসুমী

পরনে ফুলছাপ শিফন শাড়ি, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক, কপালে ছোট্ট টিপ৷ বয়স পেরিয়েছে ৭৫— কিন্তু দেখে বোঝার উপায় নেই। তিনি বাঙালির ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। নতুন ছবি ‘আড়ি’ মুক্তির আগে কন্যা মেঘা মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে কলকাতায় এলেন প্রবীণ অভিনেত্রী। বয়স বেড়েছে, সময় বদলেছে, কিন্তু তার মধ্যে এখনও উত্তেজনা ভরপুর। কলকাতায় এসে পুত্র ও পুত্রবধূর সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দিলেন। পুত্র নাকি স্বভাবে শান্ত আর পুত্রবধূকে আদর করে নাম দিয়েছেন, ‘প্যাকাটি সুন্দরী’। ‘আড়ি’ ছবির সাংবাদিক বৈঠকে যশ দাশগুপ্ত ও নুসরত জাহানকে নিয়ে এমন মন্তব্যই করলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। এই ছবিতে যশের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন মৌসুমী। তাকে ঘিরেই এই ছবির গল্প।

যশ ও নুসরত সম্পর্কে মৌসুমী এ দিন বলেন, “যশ-নুসরত দু’টি ফুল। নুসরতকে কী সুন্দর দেখতে। ওকে তো নাম দিয়েছি, প্যাকাটি সুন্দরী। যশকে দেখলে বাচ্চা মনে হয়। কিন্তু ও খুব পরিণত। ওদের জীবনে আশীর্বাদের প্রয়োজন। আর ওরা পাবেও। ওদের যেমন স্বভাব, সকলের কাছে ভালবাসা প্রাপ্য ওদের।”

বাস্তবের জুটিকে নিয়ে মৌসুমী বলেন, “জীবনের খুব ঝুঁকিপূর্ণ অধ্যায়ে রয়েছে ওরা। যশ-নুসরত দু’জনেই খুব মিষ্টি। আমি বলেছিলাম, ‘একে ফাঁসালে কী ভাবে?’ যশ খুব কম কথা বলে। আমাকে খুব আদর-যত্নে রেখেছে ওরা।”

মৌসুমীর কাছে নাকি নুসরত অভিমান প্রকাশ করেছেন, “যশ আমাকে ভালোবাসে না।” এই প্রসঙ্গে মৌসুমীর বক্তব্য, “আমি বলেছি ওকে, যারা ভালবাসে, মৌখিক ভাবে প্রকাশ করে না। তারা তোমার জন্য কী করল আর কী করতে পারল না, সেটা খেয়াল করলেই বুঝবে সে তোমায় কত ভালবাসে।” তবে যশ-নুসরতকে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর একটি বিশেষ পরামর্শ, “আমি যশ-নুসরতকে বলেছি বাড়িতে তোরা যতই ঝামেলা, ঝগড়া করিস না কেন, বাইরে আসবি হাসিমুখে। আমি তো বলেছি সুখী দাম্পত্য চাইলে একা থাক। তোরা যত পারিস দুষ্টুমি কর। ওরা আবার আমাকে আদর করে মৌ বলে ডাকে।” নিজেকে স্মার্ট শাশুড়ির তকমা দিয়েই মৌসুমী বলেন, “আমি তো বলেছি তোরা বাবা আলাদা সংসার কর। আর নিজেদের মধ্যে ঝগড়া হলে নিজেরাও আলাদা থাক আর মাঝে মাঝে ডেটে যা।”

ছবির প্রসঙ্গে মৌসুমী বলেন, “পরিচালক জিৎ চক্রবর্তীর জন্য ‘আড়ি’ ছবিটা করছি। একটা বাচ্চা ছেলে। মুম্বইয়ে গিয়ে আমাকে বলেছিল এই চরিত্রের কথা। ও বলেছিল, আমি রাজি না হলে কাজটাই করবে না। সেই সময় আমার ফুসফুসের ৩০ শতাংশ কাজ করছিল। কিন্তু, গল্প ভাল লাগল। রাজি হয়ে গেলাম। মা আর ছেলের গল্প।” শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই এই ছবির কাজ করেছেন মৌসুমী।

তিনি বলেন, “আমি তো পেসমেকার বসিয়ে এসেছি। সাত বছর বাড়ি থেকে বেরোইনি। বর দু’বার হাসপাতাল থেকে ঘুরে এসেছে। বরটা কিন্তু ভাল আমার।” আগামী ২৬ এপ্রিল মৌসুমীর জন্মদিন। তাই এই ছবি তার জন্মদিনের উপহার। জানান নুসরত।

নিজের ছবি নিয়ে উত্তেজিত মৌসুমী নিজেও। চোখের সমস্যা থাকলেও ছবির বিশেষ প্রদর্শন দেখেই মুম্বই ফিরবেন তিনি।

এসএম/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ