কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর ভারতের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে এক কঠোর পদক্ষেপ। অবিলম্বে স্থগিত করা হয়েছে ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি। এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের জন্য কেবল রাজনৈতিক বার্তা নয়—বরং এটি পানি নির্ভরতার ওপরও এক বড় হুমকি।
পাকিস্তানের কৃষি ব্যবস্থা পুরোপুরি পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলোর ওপর নির্ভরশীল। সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাব নদীর প্রবাহের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে খাল ব্যবস্থার সময়সূচি। এই ছন্দে সামান্য পরিবর্তন এলেও চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হুমকিতে পড়তে পারে ফলন। এছাড়া, সেচের খরচ বাড়বে, কৃষকের লোকসান হবে। এটি খাদ্য নিরাপত্তাকেও করে তুলবে দুর্বল।
ইতিমধ্যে সিন্ধু অববাহিকায় তাজা পানির প্রবাহ কমছে। এই প্রবণতা আরও বাড়লে উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বাড়বে। প্রভাব পড়বে মৎস্যজীবীদের জীবনযাত্রায়। পাকিস্তানের বিদ্যুৎ খাতেও ঝুঁকি বাড়বে। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ আসে জলবিদ্যুৎ থেকে। তারবেলা, মংলা ও অন্যান্য জলাধার যদি সঠিক সময়ে পানি না পায়, তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেবে। বিদ্যুৎ ঘাটতির অর্থ লোডশেডিং, শিল্প উৎপাদন ব্যাহত এবং কর্মসংস্থান অনিশ্চিত।
তাই হুমকি শুধু পানি বন্ধ হওয়া নয়—বরং একটি নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা থেকে অনিশ্চয়তার দিকে ঢলে পড়া। ভারতের সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের প্রতিদিনের জীবনে কীভাবে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে, তা হয়তো আগামী দিনগুলো আরও স্পষ্ট করে তুলবে।
টিএ/