এত ঠেলাঠেলি-ধাক্কাধাক্কি ভালো লাগে না : স্বস্তিকা

টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি ঠেলাঠেলি ও ধাক্কাধাক্কি পছন্দ করেন না। দেহরক্ষী নিয়ে ঘোরার পরিকল্পনা তাঁর নেই এবং তিনি এ বিষয়টি সক্ষম হতে চান না। রাস্তায় শুটিং করতে দেহরক্ষী প্রয়োজন হলেও, নিজের ছবি দেখতে গিয়ে যদি পিছনে দেহরক্ষী নিয়ে যেতে হয়, কারণ মানুষ গায়ে উঠে পড়ে, তাহলে সেসব জায়গায় না যাওয়াকেই শ্রেয় মনে করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে সেলফিবাজদের ওপর বিরক্ত হয়ে তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে এসব কথা বলেন। 

স্বস্তিকা লেখেন, আমি এখন থেকে আর কোনো ছবির প্রিমিয়ারে যাব না। নিজের ছবিরও না। পরের ছবিরও না। এমনিও কম যাই, সে নিজের হোক বা পরের।

কারণ অনেক জানিয়ে তিনি লেখেন, প্রিমিয়ারে ভিড় বা তারপরের দিন কাগজে কভারেজ দেখে বা তৎক্ষণাৎ সামাজিকমাধ্যমে রিলস দেখে, সিনেমাটা দেখব কিনা এটা কোনো দর্শক নির্ধারণ করেন না। করেন ছবির টিজার, ট্রেলার, পোস্টার দেখে বা যদি ছবির কলাকুশলী দেখে তাদের

সিনেমাটা দেখতে ইচ্ছে করে। আমরা যথেষ্ট প্রচার করি, সেটা মানুষকে জানান দেওয়ার জন্যই যে, এই কাজটা আসছে।

অর্ধেক সময়েই ক্রিউ মেম্বারদের ডাকা হয় না।

যে প্রোডাকশন দাদারা গোটা সিডিউলে মুখের কাছে জল, চা, খাবার ধরল, গরমের দিনে গ্লুকোজ গুলে নিয়ে এলো, মাঝরাতে থাম্বস আপ আনতে ছুটল, তাকে প্রিমিয়ারে নেমন্তন্ন করাটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।

তিনি লেখেন, বাবার সঙ্গে বাবার অনেক ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে গেছি। টগরি দেখতে গিয়েছিলাম নবীনা প্রেক্ষাগৃহে। বাবা এবং সন্ধ্যা রায় ছিলেন সেই ছবিতে। সেখানে সকল কাস্ট ক্রিউ কেই ডাকা হতো।

পরিচালক থেকে হিরো এবং যে জামাকাপড় ইস্রি করেছে তাকেও।

ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বস্তিকা লেখেন, শুধু দেখনদারীতে এসে ঠেকেছে সব। আর খাপ খাওয়ানো যাচ্ছে না। একরাশ বিরক্তি নিয়ে বাড়ি ফেরার চেয়ে পরে না হয় টিকিট কেটে দেখে নেব। এমনিও অন্যদের সিনেমা টিকিট কেটেই দেখি। এবার থেকে নিজেরটাও তাই করব।

তিনি লেখেন, সবার হাতে ফোন। সমস্ত ফুটেজ ওই ফোনেই তোলা হচ্ছে। কে আসলে মিডিয়া, আর কে ব্লগার, ইনফ্লুয়েন্সার, বোঝার উপায় নেই। কেনই বা তাদেরকে বাইট দেব বা তাদের ফোনে বন্দি হবো জানিনা।

হঠাৎ করে এই শহরে সবাই পাপারাৎসি। আর কোনো ডেকোরাম নেই, কোনো নির্ধারিত জায়গা নেই যেখানে মোবাইল হাতে ফটোগ্রাফাররা দাঁড়াবেন। সবাই গায়ের ওপর উঠে পড়ে, পারলে নাকের ফুটোর মধ্যে মোবাইল গুঁজে দিতে পারলেই ব্যাস বেস্ট রিলটা বানিয়ে ফেলবে। আমার ছবি তুলতে গিয়ে সেদিন ট্রেলার লঞ্চে কেউ একটা আমাকেই ধাক্কা মেরে ফেলে দিল।

বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বেলন, এত ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি পোষায় না। আমি বাউন্সার নিয়ে ঘুরতে অক্ষম, সক্ষম হতে চাই না। রাস্তাঘাটে শুটিং করতে লাগে ঠিকই কিন্তু তার বাইরে নিজের সিনেমা দেখতে গিয়ে যদি পেছনে বাউন্সার নিয়ে যেতে হয়, কারণ মানুষ গায়ে উঠে পড়বেই তাহলে সেখানে না যাওয়াই ভালো। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত, ব্যক্তিগত ডিসিশন। আমায় আর নিমন্ত্রণ করবেন না। মুখের ওপর না বলতে না পারলে হাসি মুখে কাটিয়ে দেব। আমি যে ছবিতে কাজ করব, জীবন উজাড় করে তার প্রচার করব। প্রিমিয়ারে পৌঁছে এক হাজারটা বাইট আর আরো কয়েকশো সেলফি আর বাজে ছবি তুলতে পারছি না। ধন্যবাদ।

আরএম/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আ.লীগের সময়ে হিন্দুদের জমি বেশি দখল হয়েছে : দুলু Apr 26, 2025
img
রায়ের ভয় দেখিয়ে নির্বাচনে বাধ্য করা হয়েছিল— দাবি শওকত মাহমুদের Apr 26, 2025
img
বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বমুখী সোনার দাম, কিস্তিতে কেনার দিকে ঝুঁকছেন দুবাইয়ের ক্রেতারা Apr 26, 2025
img
টাইমস হায়ার র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের ৫ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষে Apr 26, 2025
img
আড়াই কোটি টাকার হেরোইনসহ যুবক আটক Apr 26, 2025
img
নওগাঁয় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৭৩২ মণ চাল জব্দ Apr 26, 2025
img
‘লাল ফাইল’ নিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দুই মন্ত্রীর সাক্ষাৎ, কী আছে সেখানে? Apr 26, 2025
img
বেনাপোল বন্দরে চালু হলো পণ্যবাহী ট্রাক স্ক্যানিং কার্যক্রম Apr 26, 2025
img
পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে সব মুখ্যমন্ত্রীকে অমিত শাহের কড়া নির্দেশ Apr 26, 2025
img
তারেক রহমানই হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী, জানালো বৃটিশ গণমাধ্যম Apr 26, 2025