নাচে যেমন পারদর্শী, তেমনি অভিনয়েও বেশ পটু। পাশাপাশি উপস্থাপনায়ও সাবলীল মিষ্টি হাসির মেয়ে মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া। প্রায় ১৫ বছরের ক্যারিয়ার তার। এর মধ্যে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় নাটক কিংবা টেলিছবি।
এর বাইরে ওয়েব কিংবা সিনেমায়ও দেখা গেছে এই লাক্স সুন্দরীকে। বিয়ের পর বিরতি নিয়েছিলেন। এরপর আবার কাজেও ফেরেন; তবে নিয়মিত হননি। ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে সবশেষ শুটিং করেছিলেন তপু খান পরিচালিত ‘ভালোবাসার রঙ’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে।
দেড় বছরের বিরতি কাটিয়ে অভিনেত্রী ফিরলেন লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায়। বিরতি ও ফেরা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন কালের কণ্ঠের বিনোদনে।
উপস্থাপনা দিয়ে ফিরলেন অবশেষে...
হ্যাঁ, প্রায় দেড় বছর পর টেলিভিশনে ফিরলাম। একটু বিরতি নিয়েছিলাম, নিজের জন্য দরকার ছিল।উপস্থাপনা দিয়ে আবারও কামব্যাক করলাম। যদিও প্রথম দুইদিন শুটিং করতে কিছুটা কষ্ট হয়েছে, যেহেতু অনেকদিন শুটিংয়ের বাইরে ছিলাম। মানিয়ে নিতে কিছুটা কষ্ট হয়েছে। শুটিংয়ে শরীরের ওপর একটা ধকল যায়। তখন আগের সময়গুলোর কথা মনে করছিলাম।তবে বেশ ভালোভাবেই অনুষ্ঠানটা শেষ করেছি, অনেক উপভোগ করেছি।
ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হুট করে বিরতি। এরপর মাঝে কিছু কাজ করে আবার বিরতিতে। এখন আবার ফিরলেন...
আমি কিন্তু কখনো শোবিজ ছেড়ে দিইনি, আবার হারিয়েও যাইনি। ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছিল যে আমার একটু বিরতি দরকার। এরজন্য অভিনয় একটু কমিয়েছিলাম। যেহেতু স্বামী, সংসার আছে; সবকিছু সামলে নিজেকেও কিছুটা সময় দিতে হয়। এ সময়টাতে মার্কেটিংয়ে কাজ করেছি। যেকোনো অনুষ্ঠান কিংবা প্রয়োজনে আমাকে কিন্তু পাওয়া গেছে। আবারও অভিনয়ে নিয়মিত হতে চাই। এখন আর সহসাই বিরতি নেবার পরিকল্পনা নেই।
বিরতিটা মূলত কিসের জন্য ছিল?
এটা বলতে পারেন একান্তই আমার নিজের ইচ্ছে ছিল। অনেকদিন ধরে একই ঘরানার কাজ করে যাচ্ছিলাম, নতুন কিছু পাচ্ছিলাম না। আমি যে ধরণের গল্পে কাজ করতে চাচ্ছিলাম সেগুলো আমার পর্যন্ত আসছিলো না। একই গল্প, একই ক্যারেক্টার, একই কস্টিউম আর ভালো লাগছিল না। একটা সময় পর গিয়ে নিজের মধ্যেও কিছুটা পরিবর্তন আনতে হয়, কাজেও। একটু ভ্যারিয়েশন তো দরকার। নিজেকে নতুনভাবে নতুনরূপে উপস্থাপন কিংবা ভেঙে গড়ার মতো কোনো স্ক্রিপ্ট পাচ্ছিলাম না।
আমার নিজেরও কিছু দর্শক তৈরি হয়েছে, যারা বিভিন্ন সময়েই আমার কাজ সম্পর্কে জানতে চান। মন্তব্যের ঘরে, মেসেজে কিংবা কোথাও গেলে ভক্তদের সঙ্গে দেখা হলে তারা জানতে চান, নতুন কাজ কী আসছে বা কবে দেখতে পাবে! এখন গড়পড়তা কাজ দিয়ে সেই দর্শকের সঙ্গে তো প্রতারণা করতে পারি না। তাই ভাবলাম যে একটু বিরতি নিই।
বলতে চাচ্ছেন, ভালো গল্পের স্ক্রিপ্ট আপনার কাছে আসে না?
একটা গল্প লেখার পর পরিচালক হয়তো সেই গল্প কিংবা চরিত্র অনুযায়ী তার পছন্দ অনুযায়ী কাউকে নিয়ে কাজটা করতে চান বা চাইবেন, যেটা খুবই স্বাভাবিক। তবে ভালো গল্পগুলো আমার পর্যন্ত আসছিল না। আমি যেগুলো পেয়েছি, সেগুলোতে আমার মন খুব একটা সায় দেয়নি।
এখন তো কম্পিটিশনের যুগ, প্রতিনিয়তই কম্পিটিশন। কাজের ধরণ অনেকটাই পাল্টেছে। অনেক ভালো ভালো গল্পের কাজ হচ্ছে। আমিও চেয়েছি সেসব কাজে নিজেকে যুক্ত করতে। নিজেকে ভেঙে নতুন করে তৈরি করার মতো গল্প কিংবা চরিত্রের জন্য আমি এখনো মুখিয়ে আছি। অভিনয়টাই তো আমাদের পেশা, এটাই করতে চাই।
উপস্থাপনায় তো ফিরলেন, অভিনয়ের সুখবর কবে দেবেন?
এটাও শিগগিরই দেব। অনেকের সঙ্গেই মাঝে যোগাযোগ ছিল না, এখন আবার সেটা শুরু হয়েছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সুখবর দিতে পারব। এছাড়া সিনেমা নিয়েও কথাবার্তা এগোচ্ছে। একদম শুটিংয়ে গিয়ে খবরটি জানাব, তার আগে না।
এমআর/টিএ