খালেদা জিয়ার ভাগনে তুহিনের মুক্তির দাবিতে নীলফামারীতে বিক্ষোভ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগনে, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নীলফামারীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে বিএনপি। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা শহরের পৌর বাজারস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শহরের বড় বাজার ট্র্যাফিক মোড়ে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয় মিছিলটি।

পৌর বিএনপির সভাপতি মাহবুব উর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ পরিচালনা করেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আল মাসুদ চৌধুরী। এতে বক্তব্য দেন পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সভাপতি আরিফুল ইসলাম পাভেল, ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি শাহেন শাহ ও ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি হুমাউন কবির তুষার।

এ সময় সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পাতি, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে নীলফামারী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক কারণেই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক জিয়া পরিবারকে হেনস্তা করার জন্য মিথ্যা মামলা করেন। মূলত প্রতিহিংসা থেকে এসব মামলা দায়ের করা হয়। যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট ছিল। জিয়া পরিবারকে হেনস্তা করতে গিয়েই দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারকে।

নীলফামারী পৌর বিএনপির সভাপতি মাহবুব-উর রহমান বলেন, শাহরিন ইসলাম তুহিন একজন জনপ্রিয় নেতা। তিনি নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রুত মুক্তি দাবি করছি।

গত ২৯ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কর ফাঁকির পৃথক দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে প্রথমে কর ফাঁকির মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ-৯ কবির উদ্দিন প্রামাণিকের আদালতে তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ প্রদীপ কুমার রায়ের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

জানা যায়, কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময় তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক দুটি মামলা করে দুদক। এর মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক ধারায় দুই তিন বছর ও পাঁচ বছর– মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

এসএন 

Share this news on: