উপকূলে রাতে শীত সকালে ঘনকুয়াশা

সকালে ঘনকুয়াশা, কুয়াশা কেটে রোদের ঝলক। আবার হঠাৎ আকাশজুড়ে ঘনকালো মেঘে ঢেকে যায়, শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি কালবৈশাখীর তাণ্ডব। রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। উপকূলে গত কয়েকদিন ধরে ঝড়-বৃষ্টির কারণে সকালে ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা পড়ে উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) সকালে ঘনকুয়াশায় সড়কে বাস, মিনিবাস, ট্রাক, মাহিন্দ্রা, নসিমন, ইজিবাইকসহ যানবাহনে চলাচলে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
 
বরিশাল আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলের কোনো কোনো এলাকার কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও আরো ২-৩ দিন ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয়রা বলেন, বৈশাখ মাসে এ ঘন কুয়াশা মানুষকে অবাক করেছে। কুয়াশা দেখে মনে হচ্ছে শীতের আগাম জানান দিচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি এক ধরনের দুর্যোগ বলা যায়। এ ধরনের তারতম্য মানুষের শরীরের জন্য মোটেই উপযোগী নয়।বেলা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা হারিয়ে যায়।
 
বেতাগী পৌর শহরেরর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৮৪ বছরের বৃদ্ধ মো. জয়নুল আবেদীন জানান, তিনি বৈশাখ মাসে ঝড়-বৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা দেখেছেন। কিন্তু এমন ঘন কুয়াশা এ অঞ্চলে তার চোখে পড়েনি।

বেতাগী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী অর্ক মন্ডল জানান, গত দুদিন ধরে রাতে শীতের কারণে কম্বল নিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে।
জানা যায়, এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে যায়।

যার ফলে উপকূলের জনপদে আবার ফিরে আসে সেই সূর্যের প্রখররোদ, গত কয়েকদিন ধরে কখনো কখনো আকাশে হঠাৎ মেঘমালা ভেসে আসে। শুরু হয় কালবৈশাখীর ঝড়ো হাওয়া। এই ভ্যাপসা গরমে অনেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে রোগীসহ শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
 
বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইয়্যদ আমারুল বলেন, ‘গ্রীষ্মের এ সময় দাবদাহ হলে বেশি পানি পান করতে হবে। রোদের মধ্যে বেশিক্ষণ চলাচল করা যাবে না। আবার ঝড়ো-বৃষ্টি হলে শিশুদের খুবই যত্নে ঠাণ্ডায় আক্রান্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া শারীরিক অসুবিধা মনে হলেই দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।’

এমআর/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
শ্রমিক দিবসে শাকিব খানের আবেগঘন বার্তা, পর্দার পেছনের শ্রমিকদের জানালেন শ্রদ্ধা May 02, 2025
img
চার বন্ধু, একটি বাইক— ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল দুজনের May 02, 2025
img
ফিজিতে ‘দুর্দশায়’ ২৬ বাংলাদেশি, পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী May 02, 2025
img
ভুট্টা ক্ষেতে গাঁজা চাষ, দুই যুবক আটক May 02, 2025
img
বাসায় ডেকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ, রাজধানীতে গ্রেফতার ২ May 02, 2025
img
কারা হেফাজতে ইমামের মৃত্যু : গাজীপুরে পাল্টাপাল্টি মিছিল, যা বলছে পুলিশ May 02, 2025
img
খেলাফত মজলিস আমিরের দাবি: শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করা হোক May 02, 2025
img
মালাইকার প্রেমজীবন নিয়ে নতুন গুঞ্জন: ২০২৫ হবে তার জন্য শুভ বছর May 02, 2025
img
পহেলগাঁও হামলার বিচারিক তদন্তের আবেদন খারিজ করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট May 02, 2025
img
আমেরিকান নামি-দামি ব্র্যান্ডের আসল দাম ফাঁস করে দিলো চীন May 02, 2025