সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধ করে স্থায়ী জনবল কাঠামো হালনাগাদের সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন। কমিশন বলছে, এসব প্রতিষ্ঠানে সরাসরি নিয়োগ প্রক্রিয়াই হওয়া উচিত।
একইসঙ্গে দেশে রাইড শেয়ারিং চালকদের ‘শ্রমিক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে কমিশনের প্রতিবেদনে। তাদের শ্রম অধিকার, ন্যায্য মজুরি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনের কথাও বলা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্রম সংস্কার কমিশনের জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ করা হয়েছে। এ খাতের শ্রমিকদের জন্য বিশেষ মজুরি কাঠামো নির্ধারণ ও কম্পানিগুলোর কমিশন হার যৌক্তিক পর্যায়ে কমানো প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাইড শেয়ারিং, গিগ বা প্ল্যাটফরম অর্থনীতি খাতের বহুজাতিক কম্পানিগুলোর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী শ্রমিক সুরক্ষা, মজুরি ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া শ্রমিকদের নিরাপত্তাঝুঁকি হ্রাস এবং যাত্রী ও চালকদের জন্য সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডেটাবেইস সংরক্ষণ ও সার্বক্ষণিক (২৪/৭) কল সেন্টার চালুর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী জনবল কাঠামো হালনাগাদ করে আউটসোর্সিং নিয়োগ বন্ধের সুপারিশ করে এর পরিবর্তে সরাসরি নিয়োগ প্রদান করার কথা বলা হয়েছে শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে। এ ছাড়া আউটসোর্সিং শ্রমিকদের সুরক্ষায় দীর্ঘ সময় ধরে কর্মরত শ্রমিকদের শ্রম আইন অনুযায়ী অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মূল মালিককে দায়বদ্ধ করা এবং বিনা কারণে আউটসোর্সিং শ্রমিকদের চাকরিচ্যুতি বন্ধ ও প্রকল্প শেষে যোগ্য শ্রমিকদের রাজস্ব খাতে স্থায়ীভাবে নিয়োগের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়েছে। আউটসোর্সিং শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার অধিকার, সিবিএ নির্বাচনে ভোটাধিকার ও অভিযোগ নিষ্পত্তির সুযোগ নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এসএম/এসএন