পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার চেষ্টার পর পাল্টা জবাবে আরব সাগরে পাকিস্তানি লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে ভারত। নয়াদিল্লির সূত্র বলছে, শুক্রবার ভোরে এই টার্গেটেড অপারেশন শুরু হয়। খবর এনডিটিভির।
বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা চালায়। জম্মু, আরএস পুরা, আরনিয়া, সাম্বা ও হিরানগর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। তবে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেগুলো সফলভাবে প্রতিহত করে। পাঠানকোটে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে ও রাজস্থানের জয়সলমেরে পাকিস্তানি ড্রোন আটকানো হয়।
এই ঘটনার পর চণ্ডীগড়, মোহালি ও শ্রীনগরসহ কয়েকটি শহরে ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হয়।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাকিস্তানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র জম্মু, পাঠানকোট ও উধমপুরের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলার চেষ্টা করেছিল। তবে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্রুত তা প্রতিহত করে, কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
গত মাসের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা থেকে দুদেশের এ উত্তেজনা শুরু হয়, সে সময় ২৬ জন নিহত হন। এরপর ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালিয়ে পাকিস্তানের মুরিদকে ও বাহাওয়ালপুরে সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে হামলা চালায়।
এর পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান ভারতের অন্তত ১৫টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে, যা ব্যর্থ হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের জবাবে পাকিস্তানের লাহোরে একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট ধ্বংস হয়।
পরে আবারও পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার চেষ্টা করে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আটকাতে সক্ষম হয়।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, পাকিস্তান প্রথমে উসকানি দিয়েছে এবং ভারত শুধু তার জবাব দিয়েছে। তার দাবি, ভারতের প্রতিক্রিয়া ছিল নিয়ন্ত্রিত, নির্ভুল ও শুধু সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে সীমাবদ্ধ। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পাকিস্তান যদি আবারও আগ্রাসন চালায়, ভারত তার উপযুক্ত জবাব দেবে।
টিকে/টিএ