এই গরমে ত্বকের যত্নে মুলতানি

গ্রীষ্মকালে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তীব্র রোদে ত্বক পুড়ে যায়, বাড়ে তেলতেলে ভাব আর ব্রণের প্রবণতা। সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকের মুখ—বিশেষ করে কপাল ও নাকের পাশে—চিটচিটে তেলের উপস্থিতি দেখা যায়, যা ত্বককে মলিন ও প্রাণহীন করে তোলে। এই পরিস্থিতিতে উপকারে আসতে পারে প্রাকৃতিক উপাদান মুলতানি মাটি।

চলুন জেনে নেওয়া যাক মুলতানি মাটির রূপচর্চায় উপকারিতা।

রূপচর্চায় বহু প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে মুলতানি মাটি। এটি ত্বকের গভীর থেকে ময়লা ও অতিরিক্ত তেল দূর করতে সাহায্য করে। ব্রণসহ নানা ত্বকের সমস্যা কমাতে এটি কার্যকর। রাসায়নিক উপাদানের চেয়ে মুলতানি মাটি নিরাপদ ও বেশি ফলদায়ক।

মুলতানি মাটির উপকারিতা

১। ত্বক পরিষ্কার রাখে: ফেসওয়াশের বিকল্প হিসেবে মুলতানি মাটি ত্বক থেকে ধুলা, তেল, মৃত কোষ ও ব্ল্যাকহেডস দূর করে।
২। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযোগী: এটি ত্বকে তেলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে ও ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
৩। রোমকূপ কমায়: মুখের খোলা রোমকূপ পরিষ্কার করে সেগুলো সঙ্কুচিত করে, ফলে ত্বক হয় মসৃণ ও উজ্জ্বল।
৪। অ্যান্টিএজিং গুণ: বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বক টানটান রাখে।

ক্ষত সারায়: সানবার্ন, র‍্যাশ ও প্রদাহ কমায়, ত্বকের দাগ ও রঙের বৈষম্য দূর করে।

ব্যবহারের পদ্ধতি

১। ক্লিনজার হিসেবে: প্রতিদিনের ফেসওয়াশের পরিবর্তে ব্যবহার করা যায়।
২। টোনার হিসেবে: ত্বক সতেজ রাখতে মুলতানি মাটির তৈরি টোনার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩। ফেসপ্যাক: মুলতানি মাটি দিয়ে বাড়িতেই ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটি খুবই কার্যকর।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক রেসিপি

মুলতানি মাটির সঙ্গে নিমপাতার গুঁড়ো ও গোলাপজল মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। মুখে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল ও ব্রণের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করবে।

আরএ/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
জাকসুর ভিপি জিতুর ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগের কারণ ফাঁস Sep 14, 2025
img
সেই ফাইয়াজের ভাই এবার জাকসুর জিএস Sep 13, 2025
img
ফজলুর রহমানকে গালি দিয়ে স্লোগান দেওয়া ফারজানা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার Sep 13, 2025
img
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই Sep 13, 2025
হাইকমিশনের খালি গাড়িতে ডিম নিক্ষেপ, নিরাপদেই ছিলেন মাহফুজ আলম Sep 13, 2025
‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে’ Sep 13, 2025
img
লিটমাস টেস্টের ফল কী বার্তা দিচ্ছে? Sep 13, 2025
img
চীনা বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিল বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল Sep 13, 2025
img
পিআর পদ্ধতি সাধারণ মানুষ বোঝে না: মাহমুদুর রহমান মান্না Sep 13, 2025
img
পাকিস্তানে সংঘর্ষে প্রাণ গেল অন্তত ১৯ সৈন্যের Sep 13, 2025
img
দেড় কোটি টাকা কানাডায় মেয়ের কাছে পাচার, অভিযোগে ও আলোচনায় সাবেক প্রধান শাহীনুল Sep 13, 2025
img
ফের শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়ে প্রবেশ করছে দেশ Sep 13, 2025
img
জাকসুর ফলাফল ঘোষণায় এত সময় লাগার কারণ Sep 13, 2025
img
জাকের ও শামিমের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পেল বাংলাদেশ Sep 13, 2025
‘আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে আমরা জানি, গোপালগঞ্জে দেখে এসেছি’ Sep 13, 2025
img
ছেলে ভিপি নির্বাচিত হওয়ায় গর্বিত সাদিক কায়েমের বাবা Sep 13, 2025
img
জুবিমেন্দির জোড়াগোলে আর্সেনালের দাপুটে জয় Sep 13, 2025
img
বিসিবির দায়িত্ব নিয়ে আবেগ প্রকাশ করলেন সাইমন টাফেল Sep 13, 2025
img
গতানুগতিক ধারার ভোটে ফের ফ্যাসিস্ট তৈরি হবে, টাকা পাচার হবে : রেজাউল করীম Sep 13, 2025
img
জামায়াত আল্লাহ ছাড়া কাউকে পরোয়া করে না: মাসুদ সাঈদী Sep 13, 2025