হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকরা বলছেন, বিশেষ করে খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলে তা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। তাই প্রয়োজনে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি কিছু বিশেষ খাবার নিয়ম করে খাওয়াও সমান জরুরি। গবেষণা বলছে, কিছু সবুজ রঙের ফল ও সবজি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর ভূমিকা নেয়।
চলুন জেনে নিই, কোন কোন সবুজ খাবার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
সবুজ আঙুর
সবুজ আঙুরে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল, যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে উপকারী।
ব্রকলি
এই সবুজ ফুলকপিটি ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সক্ষম, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
সপ্তাহে কয়েক দিন ব্রকলি খাওয়ার অভ্যাস হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
পালংশাক
পালংশাকে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখে। তবে একে কাঁচা না খেয়ে সিদ্ধ বা রান্না করে খাওয়াই ভালো। বেশি পরিমাণে কাঁচা পালংশাক খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।
বাঁধাকপি
সবুজ শাকসবজির মধ্যে অন্যতম বাঁধাকপিও কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। রান্নার আগে হালকা সিদ্ধ করে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কম হয়। সালাদে মাঝে মাঝে খাওয়া যেতে পারে, তবে অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোতে থাকা মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। হার্টের জন্য উপকারী এই ফলটি ব্রেড টোস্টের সঙ্গে বা স্মুদিতেও খাওয়া যায়।
চিকিৎসকেরা মনে করেন, কোলেস্টেরলের মাত্রা যখন অতিরিক্ত বাড়তে থাকে, তখন অবশ্যই ওষুধের প্রয়োজন হয়। তবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যদি এই সবুজ খাবারগুলো অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তাহলে প্রাকৃতিকভাবেই অনেকাংশে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এতে ওষুধের উপর নির্ভরতা কমে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
এফপি/টিএ