সন্তানের সব আবদার পূরণ ভালো নাকি খারাপ?

শিশুরা কখন কী চাইবে, তা আগেভাগে বলা বেশ কঠিন। কখনও আইসক্রিম, কিছুক্ষণ পরই চকোলেট, আবার পরক্ষণেই নতুন খেলনার বায়না—না পেলেই কান্না, চিৎকার, জেদ।

এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে অনেক সময় মা-বাবা সব আবদার মেটানোর চেষ্টা করেন।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্তানের প্রতিটি চাহিদা পূরণ করা ঠিক নয়। যখন শিশু বুঝে যায়, যা চাইবে তা-ই পাবে, তখন তার চাওয়া আরও বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে জেদের মাত্রাও ধীরে ধীরে বেড়ে যায়।

আর এই অভ্যাস বদলাতে চাইলে শিশুর চাহিদা মেটানোর আগে অবশ্যই এই জিনিসগুলো মাথায় রাখতে হবে।

যে দ্রব্যটির জন্য সন্তান বায়না করছে বা কান্নাকাটি করছে, সেটি কোনো প্রয়োজনে তার লাগবে কি না, তা আগে ভেবে দেখুন। আদৌ ওই জিনিসটি তার প্রয়োজন কি না, তা বোঝার চেষ্টা করুন।

সন্তান যে জিনিসটি কিনতে চাইছে, সেটি কতদিন সে ব্যবহার করতে পারবে, তা কেনার আগে একবার খতিয়ে দেখুন।

যদি দেখেন ওই জিনিসটি বাড়ির কোণে পড়ে থাকার মতো আবর্জনার চেহারা নেবে, তবে ভুলেও কিনবেন না।

যেকোনো সামগ্রীই সন্তানের পছন্দ হতে পারে। তবে মনে রাখবেন, তার টাকার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনো বোধ নেই। তাই যে জিনিসটি কেনার বায়না করছে, তার কত দাম তা আগে জেনে নিন। আপনার সামর্থ্যের মধ্যে হলে তবেই কিনুন।

জোর করে জিনিসটি কেনার চেষ্টা করবেন না। তাতে আপনার সন্তান কোনোদিনই টাকার গুরুত্ব বুঝতে পারবে না।

প্রতিদিন বিভিন্ন জিনিসপত্র চাইলেই কিনে দেবেন না। তাতে বাচ্চার অভ্যাস নষ্ট হয়। একটি নির্দিষ্ট নিয়মে বাঁধুন তাকে। মাসে একটি কিংবা দুই মাসে একবার তার কোনো আবদার পূরণের চেষ্টা করুন।

কোনো জিনিস শিশুকে দেওয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন। আদৌ আপনি যা করছেন, তা ভুল করছেন কি না। হাজারও চিন্তা-ভাবনার পর আবদার মেটান।

বর্তমান পরিস্থিতিতে শিশুরা অনেক বেশি নিজের মত প্রকাশ করার সুযোগ পায়। তার ফলে তাদের জেদ, দাবিও অনেক বেশি। এই পরিস্থিতিতে ভুলেও সব আবদার রাখবেন না। দেখবেন তাতে খুদে বুঝতে পারবে যে সব সময় সব কিছু পাওয়া সম্ভব নয়।

আরএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
না ফেরার দেশে বিশ্বের সবচেয়ে ‘দরিদ্র প্রেসিডেন্ট’ হোসে মুজিকা May 14, 2025
img
ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার বিচার চাইলেন মির্জা ফখরুল May 14, 2025
img
বৈঠকে পুতিন উপস্থিত না হলে আলোচনায় যোগ দেবে না ইউক্রেন: জেলেনেস্কি May 14, 2025
img
বক্স অফিসে অজয়ের ‘রেইড টু’ এর দুর্দান্ত সাফল্য May 14, 2025
img
জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিলের শুনানি চলছে May 14, 2025
আদালতকক্ষে বিশৃ'ঙ্খলা, পায়ের জুতা হারালেন মমতাজ May 14, 2025
বেড়েছে গ্রেফতারের ঘটনা, অধিকাংশই আ.লীগের নেতাকর্মী May 14, 2025
বনানীর বাসিন্দারাই পরিষ্কার করছেন লেক এবং লাগাচ্ছেন গাছ May 14, 2025
img
আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিল টাইগাররা May 14, 2025
ঢাকার সড়কের ২০% অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার পিছনে দায়ী যে যানবাহন May 14, 2025