চলতি বর্ষাতেই বন্দর নগরীর জলাবদ্ধতা অর্ধেকে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আর থিওরিটিক্যাল নয় এবার বাস্তবে জলাবদ্ধতার নিরসন করতে হবে।’ চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা। বিমানবন্দরে নেমেই তিনি চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি সার্কিট হাউসে কালুরঘাটে কর্ণফুলী রেলসেতুর নির্মানকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বন্দরনগরীর দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠকে বসেন ড. ইউনূস। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নানা উদ্যোগ ও অভিজ্ঞতার কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক রকম থিওরিটিক্যাল আলোচনা করেছি, সেসব আর করতে চাইনা। আমরা চাই জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে চিরতরে বের হয়ে আসতে। কিন্তু সেটা একবারেই হবে না, তাই আমাদেরকে ক্রমান্বয়ে অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।’ জলাবদ্ধতা ক্রমান্বয়ে শূন্যে নামিয়ে আনতেও নির্দেশ দেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, ‘এবছর যেহেতু বর্ষা মৌসুম ইতোমধ্যে এসে গেছে তাই এবার সমস্যাম পুরোপুরি সমাধান সম্ভব হবে না। কিন্তু গত কয়েক মাসে সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের অন্যাুন্যর প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিতভাবে যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে তাতে যদি এবছর যদি তারা আশানুরূপ ফল না আসে তাহলেতো সব কিছু মনে হবে জলে গেল।’
চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক অর্জনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে একটি প্রতীকী সমস্যাল এবং খুবই জটিল সমস্যা। এই সমস্যাম নিরসনের মাধ্যমে অন্যাতন্যব শহর ও জেলা উৎসাহিত হবে, তাই চট্টগ্রামকে এই কাজে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে হবে।’
এই সমস্যা নিরসনে নিয়মিত তাগিদ দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরের যে সক্ষমতা রয়েছে অন্য অনেক অনেক শহরের সেই সক্ষমতা নেই। তাই চট্টগ্রামের সকল প্রতিষ্ঠানকে সক্রিয় হতে হবে এবং নাগরিক সমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে।’
আরআর/টিএ