ট্রাম্পকে ‘হত্যাকারী’ বিবেচনা করি, বললেন ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান

ইরানের চৌকস ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেন সালামি বলেছেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কাসেম সোলাইমানির ‘হত্যাকারী’ হিসেবে বিবেচনা করি।

২০২০ সালের ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ড্রোন থেকে ছোড়া রাইফেলের গুলিতে প্রাণ হারান দেশটির কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি। কুদস ফোর্স ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের বিদেশী শাখা।

ড্রোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দেন।

এদিকে কাতারের রাজধানী দোহায় আজ বৃহস্পতিবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে তারা পারমাণবিক চুক্তির দ্বারপ্রান্তে আছেন। এমন সময় দেশটির বিপ্লবী গার্ডের প্রধান এমন মন্তব্য করলেন।

নির্দিষ্ট শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করায় প্রস্তুত আছে ইরান। দেশটির সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির শীর্ষ পরামর্শক শাখমানি এ তথ্য জানিয়েছেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে স্থানীয় সময় বুধবার (১৪ মে) শাখমানি বলেছেন, ইরান কথা দেবে তারা কখনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না, ইউরেনিয়ামের মজুদ কমিয়ে ফেলবে এবং এটির মজুদ শুধুমাত্র বেসামরিক ব্যবহার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করবে। আর আন্তর্জাতিকভাবে এসব বিষয় তদারকি করা হবে।

তবে এর বদলে ইরানের ওপর আরোপ করা যুক্তরাষ্ট্রের সব অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। তাকে এনবিসির সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন যদি যুক্তরাষ্ট্র আজই আপনাদের দাবি মেনে নিলে পারমাণবিক চুক্তি করবেন কি না। জবাবে খামেনির এ পরামর্শক বলেন, ‘হ্যাঁ’। তিনি জানান, যদি মার্কিনিরা তাদের কথা রাখে তাহলে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে ভালো সম্পর্ক হতে পারে। তিনি বলেন, “এটি সম্ভব। যদি মার্কিনিরা যা বলে তা করে, তাহলে অবশ্যই আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক হতে পারে। যেটির মাধ্যমে ভবিষ্যতে ভালো পরিস্থিতি হবে।”

তবে ইরানকে হুমকি ধামকি দিয়ে কিছু করা যাবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেন, “ট্রাম্প মনে করেন তিনি মধ্যপ্রাচ্যে এসে উচ্চবাচ্য করবেন আর আমাদের ভীত করে দেবেন। আমাদের কাছে বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর চেয়ে শহীদি মৃত্যু বেশি সুন্দর। ট্রাম্প আমাদের ভয় দেখাতে এসেছেন! আমরা কোনো ধমকের কাছে মাথা নত করব না।”

সূত্র: আল আরাবিয়া

আরআর/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে সিনেমা শেখাতে চান আমির Sep 15, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলায় আর দু’একজনের সাক্ষ্য নেয়া হবে: চিফ প্রসিকিউটর Sep 15, 2025
img
মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছে ১১ হাজার টন ইলিশ Sep 15, 2025
img
আওয়ামী লীগ আর হিন্দুস্তান একই পথের সাথী: জয়নুল আবদিন ফারুক Sep 15, 2025
“মানুষ সচেতন না হলে, পাসপোর্ট অফিসের দালাল থামবে না!” Sep 15, 2025
img
আপেলের সঙ্গে কমলার তুলনা, ‘সাইয়ারা’ প্রসঙ্গে আমিশা পাটেল Sep 15, 2025
img
পদোন্নতি পাওয়া পুলিশের ৬২ কর্মকর্তাকে একযোগে পদায়ন Sep 15, 2025
img
আ. লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস Sep 15, 2025
img
শপথ নিলেন নেপালে সুশীলা কার্কির ৩ মন্ত্রী Sep 15, 2025
img
আজানের শব্দে কবর থেকে নড়ে উঠলো নবজাতক, পরিবার পলাতক Sep 15, 2025
img
ইতালিতে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হন সোহা আলি খান Sep 15, 2025
নবুওয়াতের আগে নবীজির ব্যক্তিত্ব | ইসলামিক জ্ঞান Sep 15, 2025
নবীজির বিয়ের ঘটনা | ইসলামিক জ্ঞান Sep 15, 2025
এবার আইটেম গানে ধরা দেবেন সামিরা খান মাহি Sep 15, 2025
পাকিস্তানের দিকে ফিরেও তাকালেন না ভারতীয় ক্রিকেটাররা Sep 15, 2025
'এয়ার এস্ট্রায় যাত্রীর তিক্ত অভিজ্ঞতা Sep 15, 2025
আফতাবনগর ও বনশ্রীতে যুক্ত হচ্ছে ৩ সেতু! এলাকাবাসীর স্বপ্ন পূরণ! Sep 15, 2025
img
রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বাড়লো ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস Sep 15, 2025
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয় কাজের আহ্বান জানালেন এমপি মনোনয়ন প্রার্থী রেজাউল Sep 15, 2025
বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারিতে এবার মিমি-উর্বশীর নাম Sep 15, 2025