ভিসা ক্যাটেগরি, কাজের ধরন-বেতন, সুযোগ-সুবিধা ও কোম্পানি বা কফিলের চুক্তিপত্রে নিজেদের স্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে কিনা এসব যাচাই-বাছাই করে কুয়েতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ তারেক হোসেন।
মঙ্গলবার কুয়েতের মিসিলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব কুয়েতের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি।
সভায় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘‘কুয়েত থেকে পাওয়া ভিসাটি বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত কর্তৃক সত্যায়িত আছে কিনা সেটি দেখে নিতে হবে। এসব বিষয়গুলো দেখে না আসার কারণে অনেকেই ভিসা দালালদের দ্বারা প্রতারিত হচ্ছেন।’’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘‘যে কোনো কোম্পানি দূতাবাস কর্তৃক ভিসা সত্যায়িত করার জন্য আবেদন করা হলে আমাদের মিশনের পক্ষ হতে প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে শ্রমিকদের কাজের ধরন, বেতন, থাকার ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সব সুযোগ-সুবিধাগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখে তারপরই ভিসা সত্যায়িত করা হয়।’’
দালালদের কাছ থেকে ভিসা নিয়ে কুয়েতে আসা কোনোভাবেই ঠিক হবে না উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘‘সম্ভব হলে বৈধপথে সরকারি সংস্থা 'বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড'-এর (বোয়েসেল) মাধ্যমে কুয়েতে আসা যেতে পারে।"
বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি আমদানির লক্ষ্যে দূতাবাস কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ইতোমধ্যে কুয়েতের স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে; ইতিবাচক সাড়াও পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, "বাংলাদেশেও এ বিষয়ে কথা হয়েছে, দক্ষ জনশক্তির একটি পরামর্শপত্র মিশনে পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে।"
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব কুয়েতের সভাপতি মইন উদ্দিন সরকার সুমন, সাধারণ সম্পাদক আ হ জুবেদ, সহ-সভাপতি আল আমিন রানা, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ হেবজু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক রিপন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. সেলিম হাওলাদার, আহাদ আম্বিয়া খোকন, আলাল আহমদ, জসিম ভূঁইয়া ও নাসরিন আক্তার মৌসুমি।
টিএ/