দুধের দাম কমে যাওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের খামারিরা। মিল্ক ভিটা খামারিদের কাছ থেকে প্রতি লিটার দুধ ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় কিনছে, যা আগের চেয়ে ৫ টাকা কম। অথচ এই দুধ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা লিটার দরে। অন্যদিকে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে গোখাদ্য, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সব খরচ। এতে খামার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় খামারিরা।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মিল্ক ভিটার দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার পাশে গড়ে উঠেছে শত শত খামার। এখানকার চার লাখের বেশি গবাদিপশু থেকে প্রতিদিন পাঁচ লাখ লিটার দুধ উৎপাদন হয়, যা দেশের বড় একটি চাহিদা পূরণ করে। এক সময় এই শিল্প স্থানীয়দের জীবিকা ও সচ্ছলতা এনে দিলেও বর্তমানে অব্যাহত খরচ বৃদ্ধি ও দুধের দাম কমে যাওয়ায় অনেক খামারিই লোকসানে পড়েছেন। কেউ কেউ গরু পালন বন্ধের কথা ভাবছেন।
খামারিরা বলছেন, সমবায়ভুক্ত থাকায় তাঁরা মিল্ক ভিটাকে নির্ধারিত দামে দুধ দিতে বাধ্য। ফলে বাজারে দাম বাড়লেও তার সুফল তাঁরা পান না। আবার অনেক সময় ঘোষণা ছাড়াই দুধ নেওয়া বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। বাধ্য হয়ে তাঁরা দুধ বিক্রি করছেন আরও কম দামে। কেউ কেউ বলছেন, এক সময় মিল্ক ভিটা ৬০ টাকা বা তারও বেশি দামে দুধ কিনত, এখন তা ৪৮-৪৯ টাকায় নেমে এসেছে।
মিল্ক ভিটার এক পরিচালক জানান, আগের পরিস্থিতিতে খামারিদের সহায়তা করতে দুধের দাম বাড়ানো হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আবার পুরনো দামে ফেরা হয়েছে। যদিও তাদের দুধের দাম এখনও অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় কিছুটা বেশি বলেও দাবি করেন তিনি।
শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, খামারিদের একক বা সমবায়ভিত্তিক উদ্যোক্তা হিসেবে দুধ ও দুগ্ধপণ্য উৎপাদন শেখা প্রয়োজন। তাহলে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা কমবে এবং লাভের পথও খুলে যাবে। তবে আপাতত মিল্ক ভিটার সিদ্ধান্তে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এখানকার খামারিরা।
এমআর/টিএ