এবার একদল বিজ্ঞানী চীনের তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেয়েছেন। শেনজ্যু স্পেস বায়োটেকনোলজি গ্রুপ ও বেইজিং ইনস্টিটিউট অব স্পেসক্র্যাফট সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একদল বিজ্ঞানী দাবি করেন, মহাকাশের কঠিন পরিবেশে টিকে থাকা ব্যাকটেরিয়াটি মূলত নিয়ালিয়া তিয়াগংজেনেসিস ব্যাকটেরিয়ার নতুন প্রজাতি।
প্রোটিনের গঠন ও কাজের ধরনে বেশ পার্থক্য থাকায় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস মোকাবিলা ও তেজস্ক্রিয়তার কারণে সৃষ্ট ক্ষতি মেরামত করতে পারে এই ব্যাকটেরিয়া। নতুন এই তথ্য ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সিস্টেমেটিক অ্যান্ড ইভল্যুশনারি মাইক্রোবায়োলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
চীনের চ্যাম্প বা চায়না স্পেস স্টেশন হ্যাবিটেশন এরিয়া মাইক্রোবায়োম প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে চীনের তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশন থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে নিয়ে আসা হয়। নমুনাগুলোর মধ্যেই নতুন প্রজাতির এই ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নতুন ব্যাকটেরিয়াটি একটি গ্রাম-পজিটিভ, স্পোর-গঠনকারী দণ্ডাকৃতির ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়ার বৈশিষ্ট্য মহাকাশযানের জীবাণু নিয়ন্ত্রণ, কৃষি, শিল্প ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে। এটি নির্দিষ্ট জৈব যৌগ ভেঙে বর্জ্য থেকে বিভিন্ন উপকারী উপাদান তৈরি করতে পারে, যা পৃথিবী ও মহাকাশ, উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদে মহাকাশ অভিযানের সময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এই ব্যাকটেরিয়া বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। শুধু তা-ই নয়, ব্যাকটেরিয়াটির তেজস্ক্রিয়তা প্রতিরোধের ক্ষমতা নতুন ওষুধ উদ্ভাবনেও সাহায্য করতে পারে। আর তাই এই ব্যাকটেরিয়ার আবিষ্কার শুধু মহাকাশ গবেষণার জন্যই নয়, পৃথিবীর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: এনডিটিভি
আরআর/এসএন