সংস্কার ও নির্বাচন মুখোমুখি করা অপরাধ : নজরুল ইসলাম খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘সংস্কার এবং নির্বাচনকে সামনাসামনি করে দেওয়া অপরাধ, এটা ভুল। আরে গণতন্ত্র নিজেই সংস্কার। সে জন্যই বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন হতে হবে এবং সবই যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে।’

মঙ্গলবার (২০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আগে রাজতন্ত্র ও সামন্তবাদ ছিল। গণতন্ত্র যে এসেছে এটাও তো একটা সংস্কারের মধ্য দিয়ে এসেছে, একটা বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে এসেছে। আর সেই গণতন্ত্র সারা দুনিয়ায় অনেকভাবে কার্য্কর।

আমেরিকায় যেভাবে গণতন্ত্র কার্যকর হয়, ইংল্যান্ডে সেভাবে হয় না, ফ্রান্সে যে রকম কার্য্কর হয়, ভারতে সেভাবে হয় না। আবার নেপালে যে রকম হয় বাংলাদেশে সে রকম হয় না। একেক দেশে একেকভাবে গণতন্ত্র কার্যকর হয়। কাজেই সংস্কার আর গণতন্ত্র পরস্পরবিরোধী নয়, এটা পরিপূরক।

তিনি বলেন, ‘যারা ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর ছিল, নেতৃত্ব দিয়েছে, যারা তাদের সঙ্গে ছিল, অবশ্যই তাদের সবার বিচার করতে হবে। কারণ তারা আমার বিরুদ্ধে, আমার পরিবারের বিরুদ্ধে, আমার বন্ধুর বিরুদ্ধে, আমার সহকর্মীর বিরুদ্ধে, আমার দেশবাসীর বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। অবশ্যই বিচার চাই। কিন্তু সেই বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন করা যাবে না। এই প্রশ্ন যারা তোলে, তারা আসলে এই কথা বলে জনপ্রিয় কথার আড়ালে নির্বাচনটাকে বিলম্বিত করতে চায়।

আপনি জুলুম করতে পারেন যে তিন দিনের মধ্যে বিচার করতে হবে, সাত দিন বা দশ দিন বা এক মাসের মধ্যে বিচার করতে হবে, এটা কি করা উচিত? সুবিচারের জন্য এই শব্দটা কি ভালো? আমরা বলেছি, দ্রুত বিচার অবশ্য্ই করতে হবে। এটা আমরা লিখিতভাবে সরকারকে বলেছি। আমরা বলেছি আরেকটা ট্রাইব্যুনাল করেন। এত বেশি লোকের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে একটা ট্রাইব্যুনালে হবে না। কিন্তু সেটা করতে করতে কয়েক দিন আগে করল। এখন পর্যন্ত সেটা কার্য্কর হয়নি। দোষটা কার? আমাদের? ইনভেস্টিগেশন অফিসার নাই বেশি আরো দিতে হবে। সেটা করা হচ্ছে না, বিলম্ব করা হচ্ছে। আসল উদ্দেশ্যটা কী?’

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের, জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।

 আরএম/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ Dec 15, 2025
img
পুলিশের পোশাকে জামায়াত প্রার্থীর পথসভায় বক্তব্য দেওয়ায় এএসআই বরখাস্ত Dec 15, 2025
img
ডিসেম্বরের ১৩ দিনেও কোনো রেমিট্যান্স আসেনি দেশের ১০ ব্যাংকে Dec 15, 2025
img
কলম্বিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল অন্তত ১৭ জনের, আহত ২০ Dec 15, 2025
img
স্বর্ণ কিনবেন? জেনে নিন আজকের বাজারদর Dec 15, 2025
img
৩ দাবিতে আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা ডাকসুর Dec 15, 2025
img
রাজধানী ঢাকায় কমবে দিনের তাপমাত্রা Dec 15, 2025
img
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি, কমেছে দাম Dec 15, 2025
img
অস্ট্রেলিয়ায় বন্দুক হামলার ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে ১৬ Dec 15, 2025
img

চানখারপুলে ছয় হত্যা

হাবিবুর রহমানসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু আজ Dec 15, 2025
img
ওসমান হাদির ঘটনায় মেহেরপুর সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার Dec 15, 2025
img
এমবাপে ও রদ্রিগোর গোলে আলাভেসের বিপক্ষে স্বস্তির জয় রিয়াল মাদ্রিদের Dec 15, 2025
img
এলাকার উন্নয়নে ঐক্যের আহ্বান হাবিবুর রশিদ হাবিবের Dec 15, 2025
img
শব্দদূষণকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে: রিজওয়ানা হাসান Dec 15, 2025
img

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

হলান্ডের জোড়া গোলে ক্রিস্টাল প্যালেসকে বড় ব্যবধানেই হারাল ম্যানচেস্টার সিটি Dec 15, 2025
img
আজ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হবে সিঙ্গাপুর Dec 15, 2025
img
১৫ ডিসেম্বর: ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা Dec 15, 2025
img

বুন্ডেসলিগা

টেবিলের তলানির দলের বিপক্ষে কোনোমতে হার এড়াল বায়ার্ন মিউনিখ Dec 15, 2025
img
ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রবাসীদের দেশ গড়ায় অবদান রাখার আহ্বান Dec 15, 2025
img
সিডনির ঘটনায় প্রশংসায় ভাসছেন মুসলিম ফল ব্যবসায়ী Dec 15, 2025