আইপিএলের শেষের অঙ্কটা বেশ জমে উঠেছে। এরইমাঝে নির্ধারিত হয়ে গেছে ৮ দলের ভাগ্য। সুতোয় ঝুলছে দিল্লি ক্যাপিটালস এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ভাগ্যটা। এরপরেই অবশ্য আছে প্লে-অফের আনুষ্ঠানিকতা। আর টুর্নামেন্ট যখন শেষের দিকে এগুচ্ছে, তখন আইপিএলে চোখ রাঙাচ্ছে বৃষ্টির বাধা।
এবারের আইপিএলের একাধিক ম্যাচ এরইমাঝে ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। শঙ্কায় আছে সামনের বেশ কিছু ম্যাচও। এমন অবস্থায় বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে আইপিএলের ম্যাচগুলোর দৈর্ঘ্য আরও ২ ঘণ্টা বাড়িয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। গতকাল মঙ্গলবার থেকে চালু হয়েছে এই নিয়ম।
আর সেটাই ক্ষিপ্ত করেছে আসরের বড় দল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। তাদের দাবি, সঠিক সময়ে এই নিয়ম চালু করা হলে এখনও তারা প্লে-অফের দৌড়ে থাকতে পারত।
গতকাল মঙ্গলবার ভারতের বোর্ড জানিয়েছে, ২০ ওভারের ম্যাচ শেষ করার জন্য ৬০ মিনিটের বদলে ১২০ মিনিট অপেক্ষা করা হবে। ন্যূনতম পাঁচ ওভারের ম্যাচ শুরু করার সর্বশেষ সময়ও এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। আইপিএলের মুখ্য কর্তা হেমঙ্গ আমিন ই-মেইল করে সব দলকে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। মূলত বর্ষা মৌসুমের কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত।
আর সেটাই মানতে পারছে না আইপিএলের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া কেকেআ। বৃষ্টিতে এবার তাদের দুই ম্যাচ হয়েছে বাতিল। পাঞ্জাব কিংস এবং বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ভেস্তে গিয়েছে। এই দুই ম্যাচে জয় পেলে কলকাতাও টিকে থাকত প্লে-অফের দৌড়ে। বিসিসিআই বরাবর চিঠি দিয়ে সেই ক্ষোভই প্রকাশ করেছেন কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজির সিইও ভেঙ্কি মাইসোর।
মাইসোর কলকাতার পক্ষ হয়ে পাঠানো মেইলে লিখেছেন, “মওসুমের মাঝপথে নিয়ম বদল যে কোনও কোনও ক্ষেত্রে দরকারি সেটা আমরা জানি। তবে নিয়ম চালু করার ক্ষেত্রে একটা ধারাবাহিকতা থাকা উচিত বলে আমরা মনে করি।”
তিনি আরও লিখেছেন, “যখন আইপিএল ১৭ মে আবার শুরু হলো, তখনই এটা পরিষ্কার ছিল ওই দিনের প্রথম ম্যাচ, অর্থাৎ কলকাতা বনাম বেঙ্গালুরু ম্যাচটি, বৃষ্টির কারণে বাধাগ্রস্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে ছিল। আবহাওয়ার পূর্বাভাস সকলের কাছেই ছিল। এখন যে অতিরিক্ত ১২০ মিনিট সময় প্রযোজ্য করা হয়েছে, তা সেদিন থাকলে অন্তত পাঁচ ওভারের একটি ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ মিলত।”
সবশেষে তিনি লিখেছেন, “ওই ম্যাচের পরেই কেকেআরের প্লে-অফের আশা শেষ হয়ে যায়। তাই তড়িঘড়ি নেওয়া সিদ্ধান্ত এবং ধারাবাহিকতার অভাব থাকা এ ধরনের প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে কাম্য নয়। কেন আমরা এতটা ক্ষুব্ধ, সেটা আশা করি বুঝতে পারছেন।”
টিকে/টিএ