আগের ম্যাচে বাংলাদেশ দুইশ পেরোনো সংগ্রহ নিয়েও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো সহযোগী সদস্য দেশ ইতিহাস গড়ে হারিয়েছিল। যা তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিকে সিরিজের ‘ফাইনালে’ পরিণত করেছে। সিরিজ নির্ধারণী লড়াইয়ে নেমে ব্যাটিংয়ে আরও বিপর্যস্ত টাইগাররা। ৭১ রানেই ৭ উইকেট হারানো বাংলাদেশ অবশ্য শেষদিকের নাটকীয়তায় স্কোরবোর্ডে ১৬২ রান তুলেছে।
বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির শেষ ওভারটাও ছিল নাটকীয়। মিস ফিল্ডিং ও থ্রো না করার মতো দৃশ্যগুলো ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তেমনি আজকের (বুধবার) ম্যাচেও প্রথম ইনিংসের শেষ ওভারটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। নিয়মিত বোলারদের ওভার বাকি থাকতেই বোলিংয়ে আসেন আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম। যেখানে দুটি নো বল করায় এক বল বাকি থাকতেই আবার তার বদলে আরেকজনকে বল হাতে নিতে হয়েছে।
ওয়াসিমের ওভারটিতে ২টি ছয় ও একটি চার হাঁকানো শরিফুল-হাসানরা দুটি নো বল উপহার পেয়েছেন। ফলে ওভারটিতে বাংলাদেশ পায় ২৬ রান। টাইগারদের অবশ্য এতদূর টানার পেছনে অবদানটা ছিল জাকের আলি অনিকের। ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে তিনি ৩৪ বলে ৪১ রান করেছেন। ক্র্যাম্প ও ঘাড়ে ব্যথা নিয়েও তিনি ব্যাট করেছেন অনেকটা সময়। এ ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে টপঅর্ডারে বলার মতো রান করেছেন কেবল তানজিদ তামিম (১৮ বলে ৪০)। আর শেষদিকে হাসান মাহমুদ ১৫ বলে ২৬ এবং শরিফুল ইসলাম ৭ বলে ১৬ রান করে দেড়শ পেরোতে বড় অবদান রেখেছেন।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো উইকেট রক্ষার জন্য ধুঁকেছে সফরকারীরা। ৫৭ রানের মাথায় তারা হারিয়েছে ৫ উইকেট। এরপর ৭১ রানেই নেই বাংলাদেশের ৭ উইকেট। বলতে গেলে এক তানজিদ হাসান তামিম ছাড়া বলার মতো কোনো টপ অর্ডার ব্যাটারই রান করতে পারেননি। ম্যাচের প্রথম ওভারে দুই বাউন্ডারিতে ১০ রান তোলেন তামিম। পরের ওভারে স্পিনার ধ্রুব পরাশরের প্রথম বলেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আজ একাদশে ফিরেই গোল্ডেন ডাক নিয়ে আউট হলেন।
লিটন দাস হাল ধরার ইঙ্গিত দিয়েও ভুল করে বসলেন চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে। হায়দার আলীর বলে এলবিডব্লু হলেন ১০ বলে ১৪ রানে। একই ওভারেই তাওহীদ হৃদয় কিছুটা এগিয়ে এসে বল মিস করে যান। বল তার প্যাডে আঘাত করতেই আঙুল তুলেছেন আম্পায়ার। লিটন-হৃদয়ের দুটি আউটেই হয়তো রিভিউ নেওয়া যেত, কিন্তু সেই সুযোগ নেই এই সিরিজে। সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া শেখ মেহেদী আরও একবার ব্যর্থ। তিনি হায়দারের শিকার, কিছুটা জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে তিনি বোল্ড হয়েছেন ৯ বলে ২ রান করে।
অল্প সময়ের ব্যবধানে ফিরেছেন তানজিদ তামিম, শামীম পাটোয়ারী (৯) ও রিশাদ হোসেন (০)। তামিম ১৮ বলে ৪০ করেছেন ৪টি করে চার-ছক্কায়। ৮১ রানে ৮ উইকেট হারালে বাংলাদেশ ২০ ওভার খেলতে পারবে কি না সেই সংশয় জাগে। তবে জাকের আলি ও টেলএন্ডারে শরিফুল-হাসানরা সেই শঙ্কা কাটিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ১৬২ রান।
আমিরাতের পক্ষে ৪ ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র ৭ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেছেন হায়দার আলী। এ ছাড়া মতিউল্লাহ খান ও সগির খান ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন।
এমআর/টিএ