মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রা বিরতিতে থেমে থাকা লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় নেহাল আহাম্মেদ জিহাদ ওরফে জিহাদ হাসান (২৪) নামের প্রধান আসামির জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২১ মে) বেলা ১১ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ওই আসামীর জন্য জামিনের আবেদন উপস্থাপন করা হলে বিচারক মো. নূর ইসলাম আসামির জামিন না মঞ্জুর করে ওই যুবককে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। এ তত্য নিশ্চত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ হোসেন।
এর আগে গত সোমবার (১২ মে) ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আসামি জিহাদ হাসানের জামিন শুনানী হলে আমলি আদালত-১ এর বিচারক জ্যেষ্ঠ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে জামিন নামঞ্জুর করেন । আসামি জিহাদ হাসান মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিন ইসলামপুর (যোগনীঘাট) এলাকার মো. মনিরুজ্জামানের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৯ মে) মুন্সীগঞ্জে যাত্রাবিরতির থেমে থাকা লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধরের যৌন নিপীড়ন, বেআইনি জনতাবদ্ধে মারধর করে লঞ্চে ভাঙচুর, ক্ষতি ও হুমকির অপরাধের প্রেক্ষিতে মুক্তারপুর নৌপুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মিলন বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারা সহ পেনাল কোডের অন্যান্য ধারায় মুন্সীগঞ্জ থানায় জিহাদ হাসান সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এ ঘটনায় পরের দিন শনিবার দুপুরে আসামি জিহাদ হাসান মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। ওই দিন পুলিশ তাকে আটক দেখায়।
পরে মুক্তারপুর নৌপুলিশ বাদি হয়ে মারধর, লঞ্চ ভাঙচুর এবং লঞ্চে লুটপাটের ঘটনায় মামলা করেছে।মামলায় একজনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জন আসামি রয়েছে। মামলাটি নৌ পুলিশ তদন্ত করবে।
এ ব্যাপারে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট হালিম হোসেন জানান, যাত্রা বিরতি লঞ্চে প্রকাশ্যে নারীদের মারধোর সহ লঞ্চে ভাংচুরের ঘটনায় মামলার আসামি জিহাদ হাসানের জন্য নিম্ন আদালতে জামিন না মঞ্জুরের আদেশে ক্রিমিনাল মিস কেইস মূলে আজ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানী হয়েছে। আদালত শুনানী শেষে তার জামিন না মঞ্জুর করেছেন।
এমআর/টিএ