মেঘনা নদীর একটি বালুমহালের ইজারা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনীর এক সদস্যকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগে বরিশালে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১২ জন শীর্ষ নেতার পদ আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে দলটি। দলীয় তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বিএনপির পক্ষ থেকে এ শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২১ মে) দিবাগত রাতে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) অধ্যাপক আকন কুদ্দুসুর রহমান জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তারা অনেকেই দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় তুলনামূলকভাবে লঘু শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২৭ মার্চ ঘটনার পর বিএনপির ১২ নেতার পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয় এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলালকে একমাত্র সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সম্প্রতি সেই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আগের শাস্তির মেয়াদ তিন মাস থেকে বাড়িয়ে ছয় মাস করা হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত অভিযুক্তদের জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ জেলায় ছয়টি বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়। হিজলা উপজেলা সংলগ্ন মেঘনার একটি বালুমহালের ইজারা পেতে বিএনপি নেতারা যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালান। তবে তাদের পাশ কাটিয়ে দরপত্র জমা দেন কাজী আব্দুল মতিন।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপি নেতারা মতিনের ভাতিজা সেনাসদস্য আবু জাফরকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মারধর করে একটি রেস্ট হাউজের কক্ষে নিয়ে আটক করে রাখেন।
এ ঘটনার পর খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দেওয়ান মো. মনির হোসেন, নুর হোসেন সুজন এবং ইমরান খন্দকারকে গ্রেপ্তার করেন।
টিকে/টিএ