সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মাছ ও মুরগির মাংসের দাম। তবে কমেছে ডিমের দর। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির প্রভাবে মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। দুই সপ্তাহ আগে প্রচণ্ড তাপের কারণে প্রচুর মুরগি মারা যাওয়ায় বাজারে অনেকটাই কমে যায় মুরগির মাংসের দাম, যা এখন আবার ঊর্ধ্বমুখী। এছাড়া গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বেশির ভাগ সবজি পাওয়া গেছে ৫০ টাকার মধ্যে।
রাজধানীর জুরাইন, হাতিরপুল, পলাশী ও কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে যা ছিল ১৪০ টাকা। প্রতি কেজি লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৩০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০-২০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ২৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগি গতকাল ২৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মুরগির মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে জুরাইনে মুরগি বিক্রেতা বলেন, ‘গরমের কারণে দুই সপ্তাহ আগে অনেক মুরগি মরে যায়। তখন মুরগির দাম কমে আসে। এখন আবার গরম কমে গেছে, বৃষ্টি-বাদল হচ্ছে। আস্তে আস্তে মুরগির দাম বাড়ছে।’
মুরগির দাম বাড়লেও কমেছে ডিমের দামও। গতকাল এক ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। হাঁসের ডিম বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা দরে। গত সপ্তাহের এক ডজন ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ছিল ১৩৫-১৪০ টাকা। হাঁসের ডিম ছিল ১৮০-১৯০ টাকা। তবে বাড়তির দিকে খাসি ও গরুর মাংস। এক কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ ও গরুর মাংস ৭৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে গতকাল।
সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে শাক-সবজি ও পেঁয়াজ-আদা-রসুনের দাম। তবে বাজারে উচ্চদরে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৎস্য চাষে খরচ বেড়ে যাওয়ায় নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মাছের দাম। গতকাল এক কেজি ইলিশ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া দেশী ট্যাংরা ৮০০, পোয়া ৬০০, কালবাউশ ৪৫০, চিতল ৮৫০, বড় চিংড়ি ১ হাজার ৪০০, মাঝারি চিংড়ি ১ হাজার ১০০, কোরাল ৬৫০, রূপচাঁদা ১ হাজার ১০০, শিং ৩০০-৩৫০, সরপুঁটি ২৫০ ও কৈ ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বাজারে ৩০-৪০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে মৌসুমি বেশির ভাগ সবজি। এক কেজি আলু ২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া ঢেঁড়স ৩০, কাঁকরোল ৫০, ধুন্দল ৪০, করলা ৪০, বেগুন ৪০, পটোল ৩০, বরবটি ৪০, কাঁচা আম ৪০, কাঁচামরিচ ৪০, টম্যাটো ৫০, মুলা ৪০ ও শসা ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল বাজারে এক ডজন এলাচ লেবু ৩০ ও কাগজি লেবু ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া সব ধরনের শাক আঁটিপ্রতি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া গেছে।
এসএম/টিএ