নির্বাচন নিয়ে আজও কোনো আশ্বাস পাননি বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (২৪ মে) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে শেষে এ কথা বলেন তিনি।
আগামী নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন– জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে এমন কোনো কথা হয়নি। উনি সুনির্দিষ্টভাবে জানাননি। আমরা আমাদের দাবি জানিয়েছি। হয়তবা উনারা উনাদের প্রেসের মাধ্যমে জানাবেন। সেজন্য আমরা অপেক্ষা করব।
তিনি আরও বলেন, এখন প্রতিক্রিয়া জানানোর দরকার নেই। উনাদের (প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর) সংবাদ সম্মেলনে কি বলে, তারপর আমরা প্রতিক্রিয়া দেব। উনার প্রেসকে আগে কথা বলতে বলবেন।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, পদত্যাগের ব্যাপারে আমরা লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছি। আগেও জানিয়েছি নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং দুজন ছাত্র উপদেষ্টা, যাদের কারণে এই সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে তাদের বাদ দেওয়ার জন্য। আজও লিখিত বক্তব্যে দিয়েছি। মুখেও বলেছি।
এ বিষয় কোনো আশ্বাস দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আশ্বাস দিয়েছেন, উনারা দেখবেন। আমরা আমাদের বক্তব্য দিয়েছি।
এসময় বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মূলত সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন– এই তিনটার ওপর আলোচনা হয়েছে। সংস্কারের বিষয়ে আমরা পরিষ্কার এবং উনারা একমত হয়েছেন, সংস্কার যেখানে ঐকমত্যের ভিত্তিতে হওয়ার কথা, তার ভিত্তিতে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে। সেই কাজ অতি সহসা সম্পন্ন করা সম্ভব। এখানে কোনো দ্বিমত পোষণ করেননি। বিচার ব্যবস্থা বিচার বিভাগ করবে এবং বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে যে আলোচনা হয়েছে, এখানে উনাদের কোনো দ্বিমত নেই। সুতরাং ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন করা সম্ভব। এই আলোচনাও হয়েছে।
দলটির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, যদি দ্রুত নির্বাচন দেওয়া হয়। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলেছি আজ বাংলাদেশে যে নৈরাজ্য হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি হচ্ছে, এক অ্যানাউন্সমেন্টের ফলে বাংলাদেশে শান্তি-শৃঙ্খলা এবং গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
এসএম/টিএ