মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ও তার ভাগ্নে নিষিদ্ধ সংগঠন সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমানের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (২৪ মে) বিকেলে সিংগাইর পৌর শহরে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করে বিএনপি নেতাকর্মী ছাড়াও ২০১৩ সালে ইসলামী সমমনা ১২ দলের হরতালে নিহত ৪ জনের পরিবার ও গোবিন্দল গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ।
২০১৩ সালে ইসলামী সমমনা ১২ দলের হরতাল চলাকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বর্বরোচিত হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা গোবিন্দল গ্রামের নাজিম উদ্দীনসহ ৪ জন নিহত হন।
নিহত অন্য তিনজন হলেন- একই গ্রামের মাওলানা নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন ও শাহা আলম।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২৫ অক্টোবর নিহত নাজিম উদ্দিনের বাবা মজনু মোল্লা বাদী হয়ে ১০৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত কয়েক শ জনের নামে সিংগাইর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় নিষিদ্ধ সংগঠন সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মমতাজ বেগম ও সাধারণ সম্পাদক তার ভাগ্নে শহিদুর রহমানকে। এই মামলায় সম্প্রতি মমতাজ বেগমকে ৪ দিন ও শহিদুর রহমানসহ ৫ জনকে দুই দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে শহিদসহ ৫ জন সিংগাইর থানায় রিমাণ্ডে রয়েছে।
এরই মধ্যে শনিবার বিকেলে মমতাজ বেগম ও শহিদুর রহমানের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীসহ গোবিন্দল গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। বিক্ষোভ মিছিলটি সিংগাইর পৌরসভার গোবিন্দল নতুন বাজার থেকে শুরু হয়ে সিংগাইর থানার সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা দেওয়ান জাহিনুর রহমান সৌরভ। তিনি মমতাজ বেগম ও শহিদুর রহমাননের ফাঁসি এবং অন্যান্য আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এসময় জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রুবেল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবুল কাশেম খান, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ওমর ফারুক মুন্না, সদস্য সচিব মিল্টন মাহমুদ, পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আলমাছ হোসেন, সদস্য সচিব হৃদয় আহমেদ ও উপজেলা যুবদল নেতা শেখ সুমনসহ উপজেলা বিএনপি এবং তার অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আরআর