মেমোরিয়াল ডে'র দীর্ঘ তিন দিনের ছুটির আগে মার্কিন ক্রেতারা বাজারে শর্ট-কভারিং করায় এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান পারমাণবিক আলোচনার অনিশ্চয়তা ঘিরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। শুক্রবার (২৩ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শুক্রবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ব্যারেল প্রতি ৬৪.৭৮ ডলার, যা ৩৪ সেন্ট বা ০.৫৪% বেশি। অপরদিকে, মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ওয়াইটিআই) তেলের দাম বেড়েছে ৩৩ সেন্ট বা ০.৫৪% বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬১.৫৩ ডলার।
প্রাইস ফিউচার্স গ্রুপের সিনিয়র বিশ্লেষক ফিল ফ্লিন বলেন, "আমার মনে হচ্ছে ছুটির আগেই কিছু শর্ট-কভারিং হয়েছে।"
মেমোরিয়াল ডে'র ছুটি যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীষ্মকালীন ড্রাইভিং মৌসুমের সূচনা, যেটি মোটর ফুয়েলের সর্বোচ্চ চাহিদার সময়।
এদিকে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান রোমে এক দফা আলোচনা করেছে। আলোচনা ব্যর্থ হলে তেল সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
ফ্লিন আরও বলেন, "আলোচনার অগ্রগতি ভালো নয়। যদি এটি শেষ রাউন্ড হয় এবং কোনো চুক্তি না হয়, তাহলে ইসরায়েলের জন্য ইরানকে আক্রমণের 'সবুজ সংকেত' হতে পারে।"
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার বলেছেন, তিনি ১ জুন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পণ্যের ওপর সরাসরি ৫০% শুল্ক আরোপের সুপারিশ করছেন, কারণ তাদের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে সমঝোতা কঠিন হয়ে পড়েছে।
লিপো অয়েল অ্যাসোসিয়েটসের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু লিপো বলেন, "তেলের বাজার দুটি বিষয়ে চাপের মধ্যে রয়েছে। শুল্ক আরোপে তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার শঙ্কা এবং এই গ্রীষ্মে আবারও ওপেক সরবরাহ বাড়াতে যাচ্ছে।"
ওপেক (ওপেক এবং রাশিয়া নেতৃত্বাধীন মিত্র দেশসমূহ) আগামী সপ্তাহে বৈঠক করবে, যেখানে জুলাই মাসের জন্য প্রতিদিন ৪১১,০০০ ব্যারেল সরবরাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হতে পারে।
রয়টার্স আরও জানিয়েছে, ওপেক অক্টোবরের শেষ নাগাদ স্বেচ্ছায় কমানো ২২ লাখ ব্যারেল দৈনিক উৎপাদন পুরোপুরি ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে। এপ্রিল, মে এবং জুনে ইতোমধ্যেই প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল দৈনিক উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরআর