বড় রদবদলের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ভারত ক্রিকেট এক নতুন যুগে ঢুকে গেছে। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার পর অধিনায়ক হয়েছেন শুভমান গিল এবং সহ-অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। দলে ফিরেছেন করুণ নায়ার ও সাই সুদর্শন।
তবে এই দলে জায়গা হয়নি সরফরাজ খানের। অনেকেই মনে করছেন, এটি তার প্রতি অন্যায়। কারণ তিনি বহু বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করে এসেছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সরফরাজের। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির দলে ছিলেন তিনি, তবে একটি ম্যাচও খেলার সুযোগ পাননি। এরপরই বাদ পড়ে যান ইংল্যান্ড সফরের দল থেকে।
সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা কঠিন। তবে ক্রিকেট এমনই। যখন আপনি সুযোগ পাবেন, তখন জায়গাটা নিজের করে নিতে হয়। এমনকি যদি সেঞ্চুরিও করেন, তাহলে পরের ইনিংসে আপনি এটা ভেবে নামতে পারবেন না যে আগের ইনিংসে আপনি সেঞ্চুরি করেছেন। মনোযোগটা ক্রিকেটে দিয়ে আবারও রান করতে নেমে যেতে হবে। অন্য কাউকে আপনার জায়গা নেওয়ার সুযোওটাও দেওয়া যাবে না।’
এরপরই তিনি দিলেন দরজা ভাঙার পরামর্শ। তিনি বলেন, ‘নিজের জায়গাটা নিজেরই করে নিতে হবে। দরজায় কড়া নাড়তে হবে আপনাকে। প্রয়োজনে দরজাটা ভেঙেও ফেলতে হবে।’
তবে গাভাস্কার এটাও স্বীকার করেছেন যে, এটা ছিল কঠিন সিদ্ধান্ত। কারণ অস্ট্রেলিয়া সফরের পর আর কোনো লাল বলের ম্যাচ খেলেননি সরফরাজ।
গাভাস্কার বলেন, ‘আমি মনে করি সিদ্ধান্তটা খুবই কঠিন ছিল। কারণ অস্ট্রেলিয়া সফরের পর আর সে লাল বলের ক্রিকেট খেলেনি। হ্যাঁ, রঞ্জি ট্রফি ছিল। কিন্তু সে তখন চোটে ছিল, তাই খেলতে পারেনি। সে যে ফর্মে আছে, সেটা দেখানোর সুযোগটাও সে পায়নি।’
সরফরাজ খান ইংল্যান্ড সফরের আগে নিজের ফিটনেস উন্নত করতে ১০ কেজি ওজনও কমিয়েছিলেন। তবুও দলে জায়গা পেলেন না তিনি।
এমআর/টিএ