খুলনা মহানগর বিএনপির বর্তমান সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজানসহ দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এ মামলায় গ্রেপ্তার এবং পরবর্তী দিন ধার্য করে তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠান খুলনা অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আনিছুর রহমান।
এর আগে এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো জন্য আবেদন করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর তৈমুর ইসলাম। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে খুলনা কারাগার থেকে তাদের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়।
এ মামলায় গ্রেপ্তার অপরজন হলেন কদমতলা স্টেশন রোডের জিতেন্দ্র নাথ সাহার ছেলে এবং ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের আবেদন থেকে জানা যায়, বিগত ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার এবং গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ২৮ জুলাই এজাহারে বর্ণিত আসামিদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, জিআই পাইপ, রড এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপির বর্তমান মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়িতে আক্রমণ করে। তারা মনার বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে ফ্লাটের গেট এবং তালা কেটে ৮ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
পরে তাকে না পেয়ে আসামিরা রামদা, চাইনিজ কুড়াল, রড, জিআই পাইপ, চাপাতি এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে মনার শ্বশুর বাড়িতে আক্রমণ করে। সেখানে তালা এবং গেট ভেঙে আসামিরা ৯ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতি সাধন করে। আসামিরা যাওয়ার সময়ে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়ি ত্যাগ করে। এ ঘটনায় গেল বছরের ১২ ডিসেম্বর খুলনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
জানতে চাইলে আদালতে খুলনা থানার জিআরও এসআই প্রদীপ কুমার কুন্ডু কালবেলাকে বলেন, এ মাসের ২৫ তারিখে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর তৈমুর ইসলাম আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ তাদের আদালতে উপস্থিত করা হয় এবং আগামী ৩ জুলাই তাদের পরবর্তী দিন ধার্য করে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
উল্লেখ্য, এর আগে দুদকের দায়ের করা মামলায় ঢাকার একটি আদালত তাকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেয়। তবে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও তার নামে খুলনায় কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলে তিনি জামিনে বের হতে পারছেন না বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
এমআর