এখনও একাত্তরের যন্ত্রণা বয়ে বেড়ান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার ওপর জোর দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। রোববার পাঞ্জাবের গভর্নর হাউসে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সদস্যদের সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
 
দেশটির সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-পাকিস্তান ক্রিকেট দলের জন্য আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পাঞ্জাবের গভর্নর সরদার সালিম হায়দার ও পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উভয় দেশের সদস্য ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি।

বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের পারফরম্যান্সের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রশংসা করেন তিনি। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট দল আমাদের দূত হিসেবে পাকিস্তান সফর করছে। তারাও এই সিরিজে উচ্চমানের পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।
 
১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের কথা স্মরণ করে পাকিস্তানের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই দেশের ভাগ হয়ে যাওয়ার প্রত্যক্ষদর্শী প্রজন্মের সদস্য তিনি। আসিফ আলী জারদারি বলেন, আজকের প্রজন্ম সেই ব্যথা অনুভব করতে পারবে না। আমাদের সেই ক্ষত নিরাময় করা দরকার।
 
তিনি বাঙালি জাতির প্রশংসা করে বলেন, বাঙালিরা এক সময় এই অঞ্চলের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের কাতারে ছিলেন। আমাদের উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে এবং যৌথ পদক্ষেপ নিতে হবে; যা তাদের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করে।

আসিফ আলী জারদারি বলেন, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে একটি সফল রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃত বাংলাদেশ। আল্লাহ পাকিস্তানের মতোই প্রাকৃতিক সম্পদ দিয়েছেন বাংলাদেশকেও। দুই দেশের মাঝে সহযোগিতার বিশাল সুযোগ রয়েছে। উভয় দেশের তরুণ প্রজন্মের সম্পর্ক বৃদ্ধি করা দরকার এবং খেলাধুলা সম্পর্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রের ক্ষেত্রে সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করে।

এমআর


Share this news on:

সর্বশেষ

img
ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে মাইনাস করা যাবে না: আমিরুজ্জামান খান Jun 04, 2025
img
ঋণ নিয়ে ঋণ শোধ করার মতো বাজেট : আমিনুল হক Jun 04, 2025
img
অস্ট্রেলিয়ার টি-২০ দলে জায়গা হারালেন ম্যাগার্ক, অভিষেকের অপেক্ষায় ওয়েন Jun 04, 2025
img
অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে দীপিকা Jun 04, 2025
img
২০২৭ থেকে মাধ্যমিকে আসছে নতুন শিক্ষাক্রম Jun 04, 2025
img
সর্বজনীন পেনশনে যুক্ত হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা Jun 04, 2025
img
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা Jun 04, 2025
img
চাপ থাকলে বিকল্প পথে যাবে ঢাকার গাড়ি Jun 04, 2025
img
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে মোবাইলের চলমান সারচার্জ বন্ধে আইনি নোটিশ Jun 04, 2025
img
মুছে ফেললেন ফেসবুক পোস্ট, আলোচনায় সারজিস আলম Jun 04, 2025
img
ভারতের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী পাকিস্তান, কিন্তু মরিয়া নয় : ইসহাক দার Jun 04, 2025
img
ঈদ উপলক্ষে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হচ্ছে আজ রাত থেকে Jun 04, 2025
img
অপরিকল্পিত উন্নয়নে পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থান হুমকির মুখে : তারেক রহমান Jun 04, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ Jun 04, 2025
img
পরিবহন সংকটে ভোগান্তিতে ঘরমুখো যাত্রীরা Jun 04, 2025
img
যৌন নির্যাতনের চার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন হলিউড অভিনেতা ভিন ডিজেল Jun 04, 2025
img
হামজা-সোহেলের গোলে বিজয়ী বাংলাদেশ Jun 04, 2025
img
হামজার সঙ্গে ছবি তুলতে মাঠে ঢুকে পড়লেন ভক্ত Jun 04, 2025
img
৩৪ জন সন্তানকে দত্তক নিয়েছেন প্রীতি জিনতা Jun 04, 2025
img
আর্জেন্টাইন তরুণকে দলে পেতে রিয়াল-পিএসজির লড়াই Jun 04, 2025