ভুয়া শিক্ষাগত সনদপত্র ব্যবহার করে কলেজে চাকরি নেওয়া এবং সরকারিকরণের পর বেতন উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়াল, তার স্ত্রী লায়লা পারভীন ও এক কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাট এ মামলাটি দায়ের করেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় অবস্থিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান লায়লা পারভীন (৬২)। তিনি কলেজটির দাতা সদস্য এবং প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির সভাপতি একেএমএ আউয়ালের স্ত্রী।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, কলেজটি এমপিওভুক্ত না হলেও ২০১৮ সালে এটি সরকারিকরণ করা হয়। এরপর লায়লা পারভীন নাজিরপুর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ টাকা বেতন হিসেবে উত্তোলন করেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, তবে নিয়োগের সময় তিনি যে এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক পাসের সনদপত্র জমা দিয়েছিলেন, সেগুলো তদন্তে ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। মামলায় বলা হয়েছে, স্বামীর রাজনৈতিক প্রভাব এবং কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারের সহযোগিতায় তিনি এই ভুয়া সনদ ব্যবহার করে কলেজে প্রভাষক পদে নিয়োগ পান এবং সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেন।
আরআর/টিকে