দেশের ফুটবলে নতুন করে যে উন্মাদনা শুরু হয়েছে, তার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছেন হামজা চৌধুরী। শুধু সমর্থকেরাই নন, হামজার সতীর্থরাও তাকে পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। ভুটানের কোচ আতসুশি নাকামুরা নিজেও বলেছেন, মানের দিক থেকে হামজা চৌধুরী আলাদা। আর বাংলাদেশ দলের মিডফিল্ডার সোহেল রানাও বললেন, হামজার কাছ থেকে সবসময় শিখছেন তারা।
দীর্ঘদিন পর গত বুধবার (৪ জুন) বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচ দিয়ে জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিরেছে ফুটবল। সে ম্যাচে অবশ্য ভুটানকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। ঘরের মাটিতে অভিষেক ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছেন হামজা চৌধুরী। আর দ্বিতীয়টি করেন সোহেল রানা।
হামজা চৌধুরী বাংলাদেশ দলে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই তাকে নিয়ে দর্শকদের মাঝে উন্মাদনা ছিলো আকাশচুম্বী। মঙ্গলবার (১০ জুন) সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও যে সবার নজর থাকবে তার দিকেই, তা সহজেই অনুমেয়।
ফুটবলার হিসেবে হামজা কেমন, এ প্রশ্নের উত্তর সমর্থকদের চেয়ে ভালো আর কে-ই বা জানে। তবে সতীর্থ হিসেবে তিনি কেমন, সেটি কেবল দলের বাকি সদস্যরাই বলতে পারবেন। এছাড়া তার কাছ থেকে কতটা শিখছেন দলের বাকি সদস্যরা? এমন প্রশ্নে সোহেল রানা বললেন, প্রতিটি মুহূর্তেই হামজার কাছ থেকে শিখছেন তারা।
‘টিপস দেয়ার মত বিষয় নয়, আমরা সবসময় হামজার কাছ থেকে শিখি, যতক্ষণ ওর সাথে থাকি, আমরা শিখি। ও গোল করার পর আমরা প্রতিটা খেলোয়াড় উদযাপন করেছি ওর সাথে, যেটা ওর খুব ভালো লেগেছে, এটা ওর কাছে জানতে চাইলেও আপনারা একই কথা জানতে পারবেন।’
‘সবাই খুব খোলা মনে হামজার সাথে মিশে। ও খুব খোলা মনের মানুষ। আমাদের তো মনে হয় না, ও দেশের বাইরে থেকে এসেছে। মনে হয়, ও আমাদের বাংলাদেশের ছেলে, ওকে আমাদের কাছে প্রবাসী মনে হয় না, মনে হয় ও আমাদের দেশেরই।’
শুধু হামজা নয়, ইতালি প্রবাসী ফাহামেদুল ইসলামের অভিষেক হয়েছে ভুটান ম্যাচে। সমিত সোমের এখনও মাঠে নামা হয়নি। তবে গতকাল মাঠে বসেই পুরোটা ম্যাচ দেখেছেন তিনি। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেই অভিষেক হতে পারে তার।
সোহেল রানা আরও বলেছেন, ‘প্রতিটি ম্যাচ জয়ের পর ড্রেসিং রুমের সবাই খুশি থাকে, কালও একই বিষয় ছিল। বিশেষ করে যেহেতু হামজা দেশের মাঠে প্রথম খেলেছে, প্রথম ম্যাচেই গোল পেয়েছে, এতে খেলোয়াড়দের সবার মধ্যে বাড়তি আনন্দ কাজ করেছে। এই আনন্দ আমরা ভবিষ্যতেও ধরে রাখার চেষ্টা করবো। জিতলে ড্রেসিং রুমে যে আনন্দের আবহ থাকে, সেটা ধরে রাখার চেষ্টা করব।’
আরএম/এসএন