বার্সেলোনার হয়ে বেশ ভালো একটা মৌসুমই পার করেছেন রবার্ট লেভানডফস্কি। মৌসুম শেষে যোগ দেয়ার কথা ছিল জাতীয় দলে। কিন্তু শুক্রবার পোল্যান্ডের জার্সিতে নামেননি মানসিক ক্লান্তির জন্য। আর এবারে তো শর্তসাপেক্ষে অবসরের ঘোষণাই দিয়ে দিলেন তিনি। কোচ মিখাল প্রোবিয়েৎস যতদিন আছেন ততদিন পোল্যান্ডের হয়ে খেলবেন না বলেই ঘোষণা দিলেন লেভা।
ধারণা করা হচ্ছিল, ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ সামনে রেখে ঠিকই পোল্যান্ড দলে যোগ দেবেন লেভা। কিন্তু খেলার ৪৮ ঘণ্টা আগেও তিনি অনুপস্থিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বরং ফাটালেন বোমা। বলতে গেলে শর্তসাপেক্ষে অবসরেই চলে গিয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ৩৬ বছর বয়সী লেভানডফস্কি লিখেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি ও জাতীয় দলের কোচের প্রতি আস্থা হারানোর বিষয়টি বিবেচনা করে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যত দিন তিনি কোচ থাকবেন, তত দিন আমি পোল্যান্ড জাতীয় দলে খেলব না। আমার আশা, একদিন আবারও বিশ্বের সেরা সমর্থকদের সামনে খেলতে পারব।’
রবার্ট লেভানডফস্কির এমন ঘোষণার নেপথ্যে অবশ্য আছে আরেক গল্প। লেভানডফস্কি গত শুক্রবারের ম্যাচে না থাকায় প্রোবিয়েৎস তার কাছ থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেন। সাম্প্রতিক সময়ে পোল্যান্ডের প্রীতি ম্যাচগুলোতে বেশ অনিয়মিত ছিলেন লেভা। সেটা নিয়ে কোচ প্রোবিয়েৎস ছিলেন অসন্তুষ্ট।
সে কারণেই কি না, লেভানডফস্কিকে সরিয়ে ইন্টার মিলান মিডফিল্ডার পিওতর জিয়েলিনস্কিকে নতুন অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আর কোচের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই মানতে পারছেন না লেভা। ২০১৪ সালে ইয়াকুব ব্লাসচিকোভস্কি সরে গেলে পোল্যান্ডের অধিনায়ক হন লেভানডফস্কি। এরপর থেকেই এই দায়িত্ব তার কাঁধে। পার করেছেন প্রায় ১১ বছর।
পোল্যান্ডের হয়ে রেকর্ড ১৫৮ ম্যাচ খেলা লেভানডফস্কি ৮৫ গোল করেছেন। দেশটির ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা। সেইসঙ্গে পোল্যান্ড ইতিহাসের সেরা ফুটবলারও বলা চলে লেভানডফস্কিকে।
অবশ্য লেভার এমন সিদ্ধান্তের পর পোল্যান্ড হয়ত মিখাল প্রোবিয়েৎসকে নাও ছাড়তে পারে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ফার্নান্দো সান্তোসকে ছাঁটাই করে প্রোবিয়েৎসকে দায়িত্ব দেয় পোলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। তার কোচিংয়ে এখন পর্যন্ত ২০ ম্যাচ খেলে ১০টিতে জিতেছে পোল্যান্ড, হেরেছে ৬টিতে, বাকি ৪ ম্যাচে করেছে ড্র।
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শুরুটাও ভালো হয়েছে। লিথুয়ানিয়া ও মাল্টার বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ‘জি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে পোল্যান্ড। এমন অবস্থায় কোচ এবং দলের সেরা খেলোয়াড়ের বিবাদ পোল্যান্ডকে কোথায় নিয়ে যায়, সেটাই দেখার বিষয়।
কেএন/টিএ