বলিউডে একসময় যার নাম মানেই ছিল চিন্তাশীল অভিনয়, আবেগঘন গল্প আর ব্যতিক্রমী সিনেমা, সেই আমির খান ফিরছেন নতুন এক অধ্যায়ে।
‘সিতারে জমিন পর’ নিয়ে শুরু হয়েছে তার এই যাত্রা, তবে এটি শুধু একটি নতুন ছবি নয় — বরং তার ক্যারিয়ারের এক মোড় ঘোরানো মুহূর্ত।
২০০৭ সালের ‘তারে জমিন পর’ সিনেমাটি এক যুগান্তকারী সৃষ্টি ছিল। এবার ‘সিতারে জমিন পর’ যেন তারই আত্মিক উত্তরসূরি। যদিও সরাসরি সিক্যুয়েল বলা যাচ্ছে না, গল্পের আবহ আর আবেগ মিলিয়ে এটি যেন সেই ছবির এক নতুন রূপ। এবার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বুদ্ধিবিকাশে বাধাগ্রস্ত শিশুদের গল্প এবং তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে খেলার জগৎ — এমন এক সংমিশ্রণ যা দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।
তবে এখানেই শেষ নয়। আমির খান নিজেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি আরও কয়েকটি আইকনিক ছবির সিক্যুয়েল নিয়ে ভাবছেন। ‘৩ ইডিয়টস’-এর পরবর্তী কিস্তি যেখানে বন্ধুত্ব ও সাফল্যের গল্প প্রযুক্তির যুগে নতুন রূপ পেতে পারে। আবার ‘সরফরোশ’ সিনেমার দ্বিতীয় অংশে ভারতের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি আরও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে তুলে ধরা হতে পারে। আর ‘দিল চাহতা হ্যায়’-এর সিক্যুয়েলে দেখা যেতে পারে মধ্যবয়সে পৌঁছানো তিন বন্ধুর জীবনের জটিলতা, টানাপোড়েন আর পুরনো স্মৃতির পুনরাবৃত্তি।
এই সবকিছু মিলিয়ে অনেকেই বলছেন, এটা যেন “Khan-iverse of Meaningful Cinema”। শুধু জনপ্রিয়তার পেছনে না ছুটে, আমির এবার এমন এক ধারা তৈরি করছেন যেখানে আবেগ, বুদ্ধিমত্তা ও প্রাসঙ্গিকতা একসাথে মেলে।
এই নতুন যাত্রায় তিনি একা নন। শাহরুখ খান, সালমান খান, অক্ষয় কুমার, হৃত্বিক রোশন, অজয় দেবগনের মতো দীর্ঘদিনের সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আমির। Kajol, Kareena এবং Rani-র মতো অভিনেত্রীদের কথাও স্মরণ করেছেন আন্তরিকভাবে। একইসঙ্গে নতুন প্রজন্মের রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের প্রতিও শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এক ধরনের ‘Generational Bridge’ তৈরি করছেন।
সব মিলিয়ে আমির খান এখন আর শুধু তারকা নয় — তিনি নিজের ক্যারিয়ারকে পরিণত করছেন এক জীবন্ত লিগ্যাসিতে। ‘সিতারে জমিন পর’ দিয়ে শুরু হচ্ছে তার দ্বিতীয় ইনিংস, যা কেবল ফেরা নয়, বরং বলিউডে ভাবনার ও মানের তারকাখ্যাতির এক নতুন সংজ্ঞা।
আরএম