৪ বছর আগের সব বিতর্ককে পেছনে ফেলে নতুন জীবনের সূচনা করছেন রিয়া চক্রবর্তী

চার বছর আগে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর শুরু হয়েছিল তীব্র বিতর্ক, মিডিয়ার কটাক্ষ আর তদন্তের ঝড়। সেই সময় থেকে নিজের জীবনের সবচেয়ে কঠিন অধ্যায় পেরিয়ে অবশেষে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রিয়া খোলামেলা বলেছেন, কীভাবে ২০২০ সালের সেই ঘটনা তার ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবন একেবারে তছনছ করে দেয়। রিয়া বলেন, “আমরা যে ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে গিয়েছি, তাতে আমরা দু’জনেই কেরিয়ার হারিয়েছি।” মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের পর থেকে কোনো সিনেমা বা টিভি প্রজেক্টে আর কাজ পাননি তিনি।



তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর জীবনেও নেমে আসে অন্ধকার। ক্যাট পরীক্ষায় ৯৬ পার্সেন্টাইল পাওয়ার পরও এমবিএ করতে পারেননি তিনি। প্রথম সেমেস্টারে অনুপস্থিত থাকায় পরে আর কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ জোটানোও হয়ে পড়ে কঠিন। মিডিয়ায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায় পরিবারটিকে দীর্ঘ সময় ধরে সামাজিকভাবে কোণঠাসা থাকতে হয়েছে।

রিয়া জানান, শুধু ক্যারিয়ার নয়, মানসিক দিক থেকেও ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন “একসময় তো বুঝতেই পারছিলাম না, আমাদের ভবিষ্যৎ কোথায় যাচ্ছে। কী হবে সামনে?”

তবে সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকেই ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়িয়েছেন রিয়া। এখন তিনি এবং তার ভাই শুরু করেছেন নতুন উদ্যোগ। সম্প্রতি মুম্বাইয়ে তারা একটি নতুন পোশাক ব্র্যান্ড চালু করেছেন এবং খুলেছেন প্রথম দোকান। দোকানের উদ্বোধনের সময়ের ছবি রিয়া নিজের সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। সেখানে দেখা যায়, তিনি আবার এক নতুন অধ্যায় শুরু করছেন।

অভিনয়ে ফিরতেও শুরু করেছেন রিয়া। তিনি এখন একটি রিয়েলিটি শোতে গ্যাং লিডারের ভূমিকায় কাজ করছেন। যদিও এখনো জনমত বিভক্ত, তবু রিয়ার গল্পটি তুলে ধরছে, কী ভয়াবহ হতে পারে মিডিয়া ট্রায়াল আর ডিজিটাল লিঞ্চিংয়ের প্রভাব। এবং কীভাবে একজন সেলিব্রিটি সব হারিয়ে আবার নিজেকে নতুন করে গড়ে তুলতে পারেন।

রিয়া চক্রবর্তীর এই ফিরে আসা কেবল একজন অভিনেত্রীর নয়, বরং একজন নারীর সাহস ও লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি।

টিএ/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সম্মুখ যুদ্ধের জন্য সামরিক বাহিনী প্রস্তুত,কোনো দয়া নয় : খামেনি Jun 14, 2025
img
ইউনূস-তারেক বৈঠকে স্বস্তি ও আশার আলো দেখছে ১২ দলীয় জোট Jun 14, 2025
img
মুক্তির ছয় মাস আগে পাইরেসির জালে প্রভাসের ‘রাজা সাব’ Jun 14, 2025
img
১৪ জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস Jun 14, 2025
img
দিনের শুরুতেই তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী, ঢাকায় গরমে অস্বস্তি Jun 14, 2025
img
ইউনূস-গর্ডন ব্রাউনের ফোনালাপে অর্থনীতি ও রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা নিয়ে আলোচনা Jun 14, 2025
img
রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ঘটনায় কোনো রাজনৈতিক বা সাম্প্রদায়িক সংযোগ নেই Jun 14, 2025
img
সিরাজগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, গ্রেফতার ১৭ Jun 14, 2025
img
ইউনূস-তারেক বৈঠকে ষড়যন্ত্রকারীদের ‘গেম ওভার’,বললেন প্রেস সচিব Jun 14, 2025
img
তেহরানের মিসাইল হামলায় এক ইসরায়েলি নিহত Jun 14, 2025
img
দিনাজপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ৫ জনের Jun 14, 2025
img
ইরানের হামলায় ইসরায়েলে আহত অন্তত ৪১ জন Jun 14, 2025
img
পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দলে নেই, নিজেকে প্রমাণ করতে বিগব্যাশে বাবর আজম Jun 14, 2025
img
নির্বাচন যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে, সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী Jun 14, 2025
img
বগুড়ায় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল বন্ধু্র Jun 14, 2025
img
তেহরানের মিসাইল সরাসরি আঘাত হানল ইসরায়েলের একাধিক ভবনে Jun 14, 2025
img
রাজধানী তেহরানে ফের একাধিক বিস্ফোরণ Jun 14, 2025
img
এশিয়া কাপের আগে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করতে চায় পাকিস্তান Jun 14, 2025
img
রাজবাড়ীতে এক পাঙাশ মাছের দাম সাড়ে ৩৫ হাজার টাকা Jun 14, 2025
img
ফের মিসাইল হামলা ইরানের, আঘাত হানল ইসরায়েলে Jun 14, 2025