দক্ষিণের রূপালি পর্দায় এক নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে। দেবতা কুমারস্বামীর চরিত্রে দেখা যাবে জুনিয়র এনটিআর-কে, আর এই মহাকাব্যিক চলচ্চিত্র নির্মাণে আছেন জনপ্রিয় নির্মাতা ত্রিবিক্রম শ্রীনিবাস।
'আরবিন্দা সমেথা' ছবির পর আবার একসঙ্গে কাজ করছেন এই অভিনেতা-পরিচালক জুটি। তবে এবার আর জমির লড়াই নয়, পুরোপুরি আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক গল্পের ভিত্তিতে গড়া হবে এই ছবির কাহিনি।
এই ছবি প্রযোজনা করছে হারিকা হাসিনে ক্রিয়েশনস। দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে বড় প্রযোজনা সংস্থাগুলোর একটি এই ব্যানার বরাবরই বড় বাজেট ও বিশাল আয়োজনের সিনেমা উপহার দিয়ে আসছে।
এবারের গল্প কুমারস্বামীকে নিয়ে—যিনি দক্ষিণ ভারতে কার্তিকেয় বা মুরুগন নামেও পরিচিত। যুদ্ধ, শক্তি আর নেতৃত্বের দেবতা হিসেবে পরিচিত এই দেবতার চরিত্রে এনটিআর যেন একেবারে উপযুক্ত। তাঁর শারীরিক ভাষা, অভিব্যক্তি আর দৃপ্ততা দেবতার মর্যাদা পাওয়ার মতোই।
জানা গেছে, এনটিআর বর্তমানে ব্যস্ত 'দেবারা পার্ট টু', হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে 'ওয়ার টু', প্রশান্ত নীল পরিচালিত 'ড্রাগন' এবং নেলসন দিলীপকুমারের একটি হাস্যরসাত্মক ছবির কাজে। সবশেষে, ২০২৫ সালের শেষ ভাগে শুরু হতে পারে এই পৌরাণিক ছবির শুটিং।
প্রথম ধারণা বা পোস্টার প্রকাশ পেতে পারে ২০২৫ সালের 'গণেশ চতুর্থী' উপলক্ষে। এখনো চূড়ান্ত হয়নি সংগীত পরিচালক বা ভিএফএক্স টিম, তবে আশা করা যাচ্ছে এই ছবিতে থাকবে শ্রেণির সেরা প্রযুক্তির ব্যবহার।
'রামায়ণ', 'কাল্কি ২৮৯৮ এ.ডি' কিংবা 'অশ্বত্থামা'-র মতো একের পর এক পৌরাণিক ছবি যে নতুন ধারা তৈরি করেছে, এই ছবি সেই স্রোতের আরও এক বলিষ্ঠ সংযোজন। আর তেলুগু দর্শকের আবেগের সঙ্গে ধর্মীয় বিশ্বাসের মিশেলে এক নতুন ম্যাস আপিল তৈরি করতে পারে 'কুমারস্বামী'র এই গল্প।
ত্রিবিক্রমের ভাবনা, এনটিআরের অবয়ব আর ধর্মীয় ঐতিহ্যের শক্তি—সব মিলিয়ে এই ছবি হতে চলেছে দক্ষিণ ভারতের ইতিহাসে এক বড় মাইলফলক।
এসএন