চিরচেনা রাজ-সিমরনের প্রেমগাথা নিয়ে দর্শকদের মনে যতই ভালোবাসা থাকুক, কাজল যেন একেবারে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন—তাদের ফের একসঙ্গে দেখার স্বপ্ন কেউ না দেখাই ভালো। এক সাক্ষাৎকারে তিনি রসিকতা করে বলেন, ট্রেন তো অনেক আগেই চলে গেছে, এবার আর ফিরে আসার কিছু নেই।
দর্শকদের অনুরোধ বা প্রত্যাশা থাকলেও ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র দ্বিতীয় কিস্তি নিয়ে কোনো চিন্তা নেই তার। বরং তিনি বলেন, প্রতিটি ছবির একটি নিজস্ব যাদু থাকে, যা জোর করে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তার ভাষায়, ট্রেনের পরে কী হলো তা জানার কৌতূহল থাকলেও, ডায়াপার নিয়ে রাজ-সিমরনের ঝগড়া দেখতে কেউ চায় না।
‘ডিডিএলজে’ এখনো ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা সিনেমা হিসেবে স্বীকৃত। ছবিটি এখনও মুম্বাইয়ের মেরাঠা মন্দিরে প্রদর্শিত হচ্ছে। তবে এই রোমান্টিক ম্যাজিককে পুনরুজ্জীবনের কোনো ইচ্ছা নেই কাজলের। এমনকি ‘কুছ কুছ হোতা হ্যয়’-এর দ্বিতীয় কিস্তি নিয়েও তার মন্তব্য, ওটা ছিল একবারই ঘটে এমন ভালোবাসার সময়ের কথা, এখনকার যুগে তেমন বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা কঠিন।
এই মুহূর্তে তিনি মনোনিবেশ করেছেন এক নতুন চরিত্রে, এক নতুন সিনেমায়। ২৭ জুন মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত ‘মা’ নামের একটি পৌরাণিক-ভীতির চলচ্চিত্র। যেখানে তিনি এক মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন, যিনি অতিপ্রাকৃত শক্তির বিরুদ্ধে লড়ছেন নিজের সন্তানের জন্য। পরিচালনায় রয়েছেন ‘ছোরি’ খ্যাত বিশাল ফুরিয়া, সহ-অভিনেতা রনিত রায় এবং ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত।
স্মৃতিমেদুরতার বিরুদ্ধে নন কাজল, কিন্তু পুরোনো ভালোবাসার গল্পকে জোর করে নতুনভাবে ফিরিয়ে আনার পক্ষেও নন তিনি। তার মতে, রাজ-সিমরনের গল্প ট্রেনে শেষ হয়েছিল, সেটাই সবার কল্পনায় জীবন্ত থাকুক—আর পর্দায় নয়।
আরআর/এসএন