বলিউডের অজয় দেবগণ আবারও প্রমাণ করেছেন, তিনি যে কোনও চরিত্রে হাজির হলেই তা ইতিহাস গড়তে বাধ্য। এস এস রাজামৌলি পরিচালিত ‘আর আর আর’-এ মাত্র আট মিনিটের উপস্থিতি দিয়েই তিনি গড়েছেন নতুন রেকর্ড— ভারতে এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দামী স্বল্পকালীন চরিত্রের নজির।
২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আর আর আর’-এ এক বিপ্লবীর চরিত্রে অজয় দেবগণের সংক্ষিপ্ত উপস্থিতি ছবির আবেগ ও গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। আর এই অল্প সময়ের জন্যই তিনি পেয়েছেন ৩৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক— যা ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে মিনিটপ্রতি সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকের নতুন নজির। অর্থাৎ প্রতি মিনিটে প্রায় ৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা!
বলিউডের বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, অজয়ের এই পারিশ্রমিক শুধুমাত্র তার তারকা খ্যাতির জন্য নয়— ছবির গল্পে তার চরিত্রের গুরুত্ব ও আবেগের অভিঘাতের কারণেই এই উচ্চমূল্য। রাজামৌলির নিখুঁত পরিকল্পনায় অজয়ের দৃশ্যগুলো ছিল একদম ক্লাইম্যাক্সের মতো।
শাহরুখ খানের উদাহরণ দিয়ে অনেকে বলছেন, যদি ‘জওয়ান’ ছবিতে শাহরুখ একই হারে পারিশ্রমিক পেতেন, তাহলে তাকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা দিতে হতো!
‘আর আর আর’-এর পর অজয় দেবগণের পারিশ্রমিক আরও বেড়েছে। ‘দৃশ্যম টু’, ‘রেইড টু’, ‘সিংঘম এগেইন’— একের পর এক হিট সিনেমা আর ওটিটি-তেও রেকর্ড— ডিজনি হটস্টারের ‘রুদ্র’ সিরিজের জন্য নিয়েছেন ১২৫ কোটি টাকা, যা ওটিটিতে দেশের সবচেয়ে বড় পারিশ্রমিক।
একসময় নব্বইয়ের দশকে চিরঞ্জীবি প্রথম এক কোটি টাকা নিয়ে ক্যামিওর দামি রেকর্ড করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় এখন অজয় দেবগণ নতুন দামী বেঞ্চমার্ক তৈরি করেছেন। সিনেমা বিশ্লেষকরা বলছেন, এরপর থেকে আর পর্দায় সময় দিয়ে নয়, গল্পে প্রভাব দিয়ে নির্ধারিত হবে ছোট চরিত্রের মূল্য।
সব মিলিয়ে বলিউডে অজয় দেবগণ প্রমাণ করেছেন— বড় নায়ক মানেই বড় সময় নয়, বড় প্রভাবই আসল।
এসএম/টিকে